করোনায় বিপর্যস্ত দেশ। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। দেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক)। এখানে করোনা রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা দীর্ঘদিন থেকে অব্যাহত রয়েছে।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার বহু রোগী প্রতিনিয়ত রামেকে মৃত্যুবরণ করছেন। তাদের চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এখানে আসার পরে রোগীদের নানামুখী সমস্যা ও সংকটের সম্মুখিন হতে হয়। এসব করোনা রোগীদের সংকট লাঘবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছেন নানা উদ্যোগ। করোনা রোগীর প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য আরও হাসপাতালের বাইরে যেতে হবে না। হাসপাতালেই হবে সকল প্যাথলোজিক্যাল পরীক্ষা।
বাইরে গিয়ে পরীক্ষা করতে তাদের অতিরিক্ত অর্থও অপচয় হয়। ফলে করোনা রোগীদের সংকট দূর হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সকল পরীক্ষা হাসপাতালে করতে পৃথক চারটি প্যাথলজি সেবা চালু করা হচ্ছে রামেকে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী জানান, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য করোনা রোগীদের হাসপাতালের বাইরে যেতে হবে না। বাইরে গিয়ে পরীক্ষা করতে রোগিদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়। সেটি আর করতে হবে না। এ জন্য হাসপাতালে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
হাসপাতালে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আউটডোর, ইনডোর, ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং কার্ডিয়াক প্যাথলজি নামে চারটি পৃথক প্যাথলজি সেবা চালু করা হবে। করোনা বিষয়ক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে রোববার গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব তথ্য জানান।
পরিচালক আরও জানান, রোগীদের যাতে ছুটোছুটি করতে না হয়, সে জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে স্থাপন করা হবে কালেকশন পয়েন্ট। যেখান থেকে রোগী বা স্বজনরা সকল তথ্য পেতে পারবেন; এমনকি ওয়ার্ডের বেডে শুয়ে থাকা গুরুতর রোগীদের টেস্ট করার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্যাথলজি বিভাগ ২৪ ঘণ্টা চালুর দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ৮০’র দশকের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে রামেক পরিচালকের হাতে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে তারা হাসপাতালে চব্বিশ ঘন্টা প্যাথলজি বিভাগ চালু রাখা, কোভিড-১৯ রোগীসহ সকল রোগীদের জন্য সিটি স্ক্যানসহ সকল প্রকার পরীক্ষা করা ও পরীক্ষার রিপোর্ট স্বল্প সময়ের মধ্যে দেওয়া, হাসপাতালে মৃত রোগীর লাশবাহী সকল ধরনের গাড়ির ভাড়া পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত হারে গ্রহণ, আই.সি.ইউ বেড সংখ্যা বৃদ্ধি, কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা বাড়ানো, প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা বন্ধসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ