মানিলন্ডারিং এর অর্থ বিদেশ থেকে ফেরত আনা প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মহাপরিচালক মো: মাহমুদুল হোসাইন খান বলেছেন, অর্থ পাচারের বিষয়টি দুদক মানি লন্ডারিং আইনে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করছে। যেহেতু এই প্রক্রিয়ার সাথে বিদেশী রাষ্ট্র জড়িত। যে অর্থগুলো দেশের বাহিরে পাচার হচ্ছে সেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর তথ্যগত সঠিক সহযোগিতা পেলে পাচার করা টাকাগুলো উদ্ধার করা সম্ভব। আমরা সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা পাব এবং দুদক সফলতার সাথে এগিয়ে যাবে।
রোববার (৩ জুলাই) সকালে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের ওয়ারলেছ সংলগ্ন রশিদ ভবনে দুর্নীতি দমন কমিশন এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মানিলন্ডারিং এর পরিসংখ্যান ও তালিকা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে দুদক মহাপরিচালক বলেন, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য বলতে যেটা যখন তথ্য আসে সেটাই তালিকাভুক্ত হয়। আমি আজকে ভালো আছি, কালকে মানিলন্ডারিং করতেও পারি। এক্ষেত্রে আমরা মিডিয়া কিংবা ব্যাংকের মাধ্যমে তথ্য পাই তখন সেগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়। নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কখন কে মানিলন্ডারিং করে এটা বলা মুশকিল।
দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে মহাপরিচালক বলেন, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় উদ্বোধন হওয়া কার্যালয়ের কাজ হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ। প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধই হচ্ছে প্রধান। আমরা চাই সবার মাঝে দুর্নীতিবিরোধী একটি মনোভাব গড়ে উঠুক। সবাই যাতে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেই। যারা দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদেরকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ না জানাই এবং তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করি। এভাবেই আমাদের প্রতিরোধটা গড়ে উঠবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোসাইন আখন্দ, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, লক্ষ্মীপর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী, চাঁদপুর জেলা দুদক উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ, প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনসহ দুদকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ