নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তা প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার (২জুন) রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কারা জড়িত বা কাদের নাম এসেছে সেটা বলার নুযোগ নেই; যেহেতু মামলা চলছে সেজন্য কারো নাম বলা সম্ভব নয়। একাধিক ব্যক্তির নাম এসেছে কিনা এ প্রশ্ন করলেও তিনি তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত অপর একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শনিবার জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এ নিউজ লেখা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির মিটিং চলছিল। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার বিশ্বাসকে ফোন করলে তিনি বলেন, এখনও মিটিং চলছে, কাজ শেষ হয়নি।
প্রসঙ্গত, মির্জাপুর কলেজের ঘটনায় গত রোববার (২৬ জুন) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেৃতৃত্বে তিন সদস্য এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুটির তদন্ত প্রতিবেদন শনিবার জমা দেওয়ার কথা ছিল।
গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রাহুল দেব রায় ফেসবুকে মহানবী (সাঃ)কে অবমাননাকর এক পোস্টে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুলকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের মামলায় গেফতারকৃত ৪জনের বিরুদ্ধে আদালতে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রোববার ৩জুলাই নড়াইল সদর আমলী আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ