ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই’

প্রকাশনার সময়: ০২ জুলাই ২০২২, ১৫:৪৯ | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২, ১৬:০০

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সক্ষম হয়েছি। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।

শনিবার (২ জুলাই) জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।

পলক বলেন, আগের তিনটি শিল্পবিপ্লবের চেয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্বে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। আমরা এসব প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের অবদান ২০ শতাংশের বেশি নিশ্চিত করতে চাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামালপুর-০৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম জামালপুরে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য অন্যান্য জেলার মতো জামালপুরেও দ্রুত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ নিতে হবে। এর ফলে হাই-টেক পার্কের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ পাওয়া সহজ হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এই এলাকার সন্তান হিসেবে আমি এবং আমার জনগণ পাশে আছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জামালপুর-০৫ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো: মোজাফফর হোসেন বলেন, এই হাই-টেক পার্ক জামালপুরবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার। আমরা আশা করবো খুব দ্রুত এই হাই-টেক পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এখান থেকে এক হাজার তরুণ-তরুণি প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। এই তরুণ-তরুণীরা জামালপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবে।

প্রকল্প পরিচালক এ, কে, এ, এম, ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর সদরের মুকন্দবাড়িতে প্রায় ৫.২৩ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। অনু্ষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ