শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন মাদার নদীতে মাছ ধরার সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া কেরামতের লাশ ২৪ ঘণ্টা পর ভেসে উঠেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নদীতে পরে নিখোঁজ হয়।
পরে গ্রামবাসী অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের শরণাপন্ন হয়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে তারা খুঁজে না পেয়ে খুলনা থেকে ডুবুরি দল নিয়ে আসে। ডুবুরি দল বেলা ১১টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ব্যাপক প্রচেষ্টার পরেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। গ্রামবাসী ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিদলের একত্রিত সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তারা উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
তবে নিখোঁজের স্বজনেরা হাল ছাড়েনি সারারাত নদীতে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছেন। অবশেষে বুধবার (২৯ জুন) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নদীতে ভাসতে দেখে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রায়নগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারক বিশ্বাস জানান, নিহতের স্বজনরা লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর গ্রহণ করে নিহত কেরামত আলীর লাশ হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল সাড়ে ৬টার নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ব্যক্তি কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী গ্রামের মৃত মুনছুর গাজীর ছেলে কেরামত গাজী (৪০)। কেরামতের এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে তার সংসার। দুটি ছেলে সন্তান নিয়ে দিশেহারা নিহতের স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ