মাদক বিক্রেতাদের হামলায় আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম শুভ জানিয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল বিকালে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. আবুল বাশারকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করা হয়। আবুল বাশার সেনা বাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল পদ থেকে অবসরে ছিলেন। বাশার বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের মৃত সুজারউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।

সেনা সদস্যর ভাই আবুল কালাম জানান, প্রতিবেশি উমর আলী, তার তিন ছেলে বেল্লাল, সজিব ও সাদ্দাম ইয়াবা বিক্রি করে। এছাড়াও চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত তারা। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় বাশারের উপর ক্ষুদ্ধ হয়। গত ২০ এপ্রিল সকালে পুলিশ তাদের গ্রেফতারে চন্ডীপুর গ্রামে অভিযান করে। এ সময় বাশার পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেছিলো।

তাই তাদের সম্পর্কে পুলিশে তথ্য দেয়ার অভিযোগ এনে বিকেলে বাবা উমর আলী, মা রাণী বেগম, বেল্লাল, সজিব ও সাদ্দাম ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তারা বাশারকে মারধর ও এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে।

বাশারের ডাক-চিৎকারে এগিয়ে গেলে তার উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। বাশারকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হওয়া ঢাকার সিএমইএইচ এ ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তিনি মারা যান।

আবুল কালাম আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তিনি (কালাম) বাদী হয়ে বাবা-মা ও তিন ছেলেকে আসামি করে মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছেন।

আবুল বাশারের ছেলে শুভ জানায়, তার বাবা সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরেল পদে ছিলেন। শান্তিরক্ষী মিশনে কুয়েত গিয়েছিলেন। এছাড়াও সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালীন ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ পদক এবং সিলভার জুবিলী পদক পেয়েছেন। ২০০১ সালের ২ জানুয়ারিতে অবসরে এসেছেন।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেস চন্দ্র হালদার জানান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। ঢাকায় তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হবে। তাকে কুপিয়ে জখমের মামলার আসামি বেল্লাল বর্তমানে জেলে রয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।

তাকে কুপিয়ে জখমের মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি যুক্ত করা হবে।

নয়া শতাব্দী/এমএস