সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ১৯৮ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি) এক বছর যাবত তাদের সরকার নির্ধারিত সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা ওই হেলথ ভলান্টিয়াররা বর্তমানে পরিবাবের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ মার্চে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) এর ডিপিএম (কমিউনিটি মোবিলাইজেশন) প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৭ জেলার মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১৯৮ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি) নিয়োগ করা হয়। তারা মাসিক তিন হাজার ছয়’শ টাকা সন্মানী ভাতার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের টিকা ও ভিটামিন ক্যাম্পেইনে অতিরিক্ত কিছু ভাতা পেয়ে থাকেন।
মূলত গ্রামীণ জনগণের নিকট মান সম্পন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার গ্রহণ যোগ্যতা বাড়ানো ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সাফল্যজনকভাবে পৌঁছে দেয়া, প্রতিটি ওয়ার্ডে ও প্রতিটি পরিবারের জন্য গর্ভবতী মা, রোগের তালিকা, খানার সংখ্যা, পরিবারে আয়ের পরিমাণ ও সদস্য সংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য শিক্ষার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করাই মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারদের কাজ।
উপজেলার তালম ইউনিয়নের উপরসিলেট কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতায় কর্মরত হেলথ ভলান্টিয়ার হাদিউল ইসলাম জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৫০ থেকে ৩’শ পরিবারের গর্ভবতী মা, রোগের তালিকা, খানার সংখ্যা, পরিবারে আয়-ব্যয়ের পরিমাণ ও সদস্য সংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করে তা এ্যাপসের মাধ্যমে আপলোড করা, সপ্তাহে সিসিতে দায়িত্ব পালন দুই দিন করে, মাসে একদিন সাব ব্লকে ইপিআই কাজ করে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর হলো তারা তাদের কোন সন্মানী ভাতা ও অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিক পান না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মনোয়ার হাসান বলেন, ১৯৮ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারদের সম্মানী ভাতার কিছু কাজ উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে চলমান আছে। কাজ শেষ হলে তাদেরকে ভাতা দেয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ