স্থানীয় একটি বাজার থেকে ধরে নিয়ে পিতা-পুত্রসহ তিন ব্যক্তিকে চুরির অপবাদ দিয়ে রাতভর পিটিয়ে গুরুতর আহতের অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে রোববার রাত থেকে শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নওশের আলী তালুকদার, শাহজাহানসহ লোকজন জানান, গরু চুরির অপবাদ দিয়ে ইসমাইল, হুরমুছসহ তার লোকজন রোববার রাত ১২টার টিকে মোফাজ্জল তার ছেলে আল আমীন ও মোশারফকে বুইদ্দাবাজার থেকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রোমান নামে এক বিজিবি সদস্য পিতা-পুত্রকে বেদম পিটিয়ে রাতেই তাদের ছেড়ে দিলেও মোশারফকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে মোশারফ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল বারেককে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়া হয়। মোশারফের অবস্থার কথা শুনে থানার পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার কথা বলে। তারা অভিযোগ করেন, আসলে গরু চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি। জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার বিচার চাই।
বেদম মারধরের শিকার মোশারফের বোন হাবিবা অভিযোগ করেন, তার ভাইকে বিনা কারণে ১২ঘণ্টা ধরে বাড়িতে আটকিয়ে রেখে ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলে বিজিবির সদস্য রোমানসহ লোকজন পিটিয়ে আহত করে। তার ভাইয়ের কোমর ভেঙ্গে ফেলায় সে উঠে দাড়াতে পারছে না।
সোমবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে ইসমাইলের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, চোর সন্দেহে আটক মোশারফকে ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন ইসমাইল, হুরমুছসহ লোকজন। এ সময় স্থানীয় মানুষের ভিড়ে মোশারফের বোনসহ আত্মীয়দের আত্মচিৎকারে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল বারেক জানান, বিষয়টি রাতে যারা ধরে নিয়ে গেছে তারা আমাকে জানিয়ে ছিল। মারপিট বেশি করায় থানা পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার কথা বলা হয়েছিল।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রয়েল জানান, গুরুতর আহত মোশারফের চিকিৎসাটা এখন জরুরী।
এ ঘটনা নিয়ে ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তারপরও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ