উপরে হলুদ আর ভেতরে টকটকে লাল, স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু তরমুজ ঝুলছে কৃষকের মাচায়। অসময়ের তরমুজ বলে দামও বেশ চড়া। দৃষ্টিনন্দন ও অসময়ের ফসল বলে চাহিদা ও চড়া দামের ফলে সাতক্ষীরাতে এই হলুদ তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা।
জেলার তালা উপজেলার সেনেরগাতী ফুল বাড়ি গ্রামের কৃষক কালাম শেখ ৮ কাঠা জমিতে এ বছরই প্রথম হলুদ তরমুজের চাষ করেছেন। ৫০ দিন আগে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেনের থেকে বীজ সংগ্রহ করে ও তার পরামর্শে মালচিং পেপার ব্যবহারের মাধ্যমে জমিতে বীজ রোপন করেন তিনি।
অল্প দিনেই অসময়ে তরমুজ চাষে এত সাফল্য পাবেন ভাবতে পারেনি । ফলে কালাম শেখের মুখে এখন আনন্দের হাঁসি। কালাম শেখ জানান, বেড তৈরি করে মালচিং পেপারের ভেতর কেটে চারা বসিয়েছি। আর অল্প পরিচর্যা করেই অল্পদিনে গাছে তরমুজ ধরেছে।
এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার প্রয়োগ, মাচা তৈরি সুতা ও জাল বাবদ খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকার মতো। খরচ বাদে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রয় করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, অল্পদিনে ফলন পাওয়ায় একই জমিতে বছরে ৪ বার ফষল ফলানো যায়। ফুলবাড়ি গ্রামের অন্য কৃষকরাও দেখতে আসছে তার হলুদ তরমুজ ক্ষেতটি। তার হলুদ তরমুজের বাম্পার ফলন দেখে এ অঞ্চলের অনেক কৃষক আগামীতে এই তরমুজ চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
হলুদ তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহী করেছে উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেন। নয়ন হোসেন জানান, হলুদ তরমুজ চাষে কৃষক আগ্রহী হওয়ার প্রধান কারন মাত্র দুই মাসে তরমুজ বিক্রয় উপযোগী হয়ে যাই। সাতক্ষীরার মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
তিনি আরও জানান, দেশের উর্বর মাটিকে ব্যবহার করে কালাম শেখের মত কৃষকরা ফলিয়ে যাচ্ছে ফসল। স্বচল রেখেছে দেশের গ্রামীন অর্থনীতি। ফলে চাকরির পেছনে বৃথা সময় ব্যয় না করে যদি কৃষিকাজে শিক্ষিত তরুণেরা এগিয়ে আসেন তাহলে নিজে স্বাবলম্বী হবে এবং দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মিটাতে রাখবে ভূমিকা।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ