ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেনী পাসপোর্ট অফিসে বেড়েছে সেবার মান 

প্রকাশনার সময়: ২২ জুন ২০২২, ১৩:২৪

‘পাসপোর্ট ফি ব্যতিত অতিরিক্ত টাকা কাউকে প্রদান করবেন না। দালাল প্রতারক হতে সাবধান’ এমন কয়েকটি প্রচারণা এবার যেন সত্যি হতে চলেছে। দীর্ঘদিনের এমন বদনাম ঘুচাতে শুরু করেছে ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস।

অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে একের পর এক বদলীসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগে জনগুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটিতে সেবার মান আগের তুলনায় বেড়েছে। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে দালালবিহীন কাজ করে সহজে সেবা মিলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ফেনী শহরের মহিপালে সার্কিট হাউজ সড়কের প্রবেশ পথে স্থাপিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসটি ভোগান্তি আর অনিয়মের আখড়া হিসেবে পরিচিত ছিল। এনিয়ে গত বছরের ২১ ও ২৩ অক্টোবর কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এরপর সহকারী পরিচালক মো: মাহবুবুর রহমানসহ একেএকে বদলী করা হয় দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা পুলিশের অভিযানে ৭জন দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর অফিসের আশপাশে দালালদের আনাগোনাও কমতে থাকে।

পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, ৪৮ পৃষ্ঠা পাসপোর্টের ৫ বছর মেয়াদে নিয়মিত ৪০২৫, জরুরী ৬৩২৫, অতীব জরুরী ৮৬২৫, ১০ মেয়াদে নিয়মিত ৫৭৫০, জরুরী ৮০৫০ ও অতীব জরুরী ১০৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, গত বছরের ২১ অক্টোবর সহকারি পরিচালক পদে যোগদান করেন সাধন সাহা। বদলে যেতে থাকে সেবার মান আর অফিসের চিত্র। গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের গতকাল ২১ জুন পর্যন্ত ৪৯ হাজার ৭৯টি আবেদন জমা পড়েছে। ডেলিভারি ৪৭ হাজার ১৭টি পাসপোর্ট। সাধন সাহা যোগদানের পর গত নভেম্বর থেকে ৩৫ হাজার ৯৪টি পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ১শ ৯১টি ডেলিভারি হয়েছে। গতকাল বুধবারও আবেদন জমা হয়েছে ২০২টি। এর বিপরীতে ডেলিভারি ২শ ২৪টি।

এদিকে জনবল কম থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি করেন সহকারি পরিচালক সাধন সাহা। তিনি জানান, ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ১৩টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে উপ-সহকারি পরিচালক, উচ্চমান সহকারি ও অফিস সহায়ক পদ শুণ্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, ফেনী একটি প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা। এ কারণে এখানে জনবল সংখ্যা কমপক্ষে ২০ জন হলেও সেবার গতি স্বাভাবিক হবে।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় পরিচয় না থাকলেও ভিসা-টিকিট থাকলেও জরুরী ভিত্তিতে এমআরপি পাসপোর্ট সেবা দেয়া হয়। অনেকে সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তথ্যগত সংশোধন, পাসপোর্ট গোপন কিংবা সঠিক ডকুমেন্ট সম্পর্কে ধারনা না থাকায় হয়রানির শিকার হন। পাসপোর্ট অফিসে আসা ব্যক্তিদের সেবা দিতে তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নয়া শতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ