সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় বেতনা নদী খননের মাটি বহন ট্রাক্টর চলাচলে মাটি পড়ে পিচের সড়কে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এসময় আরো একজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা সড়কে আব্দুর রহমান কলেজের সামনে এদুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, খুলনা মহাসড়কে মোটরসাইকেলের আরোহী তিন আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। আহতদের মধ্যে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বজলুর রহমান (৫৫) মোটরসাইকেল আরোহীকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। অপরদিকে আব্দুস সালাম মোটরসাইকেল আরোহীর আশঙ্কাজনক অবস্থা হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে সিবি হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ব্যক্তি হলেন সদর উপজেলার পলাশপোল এলাকায় সাহা কাদেরের ছেলে বজলুর রহমান (৫৫) একই এলাকার মইন আলীর ছেলে সালাম (৪২)। অপরদিকে আহত হয়েছেন সদর উপজেলার একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৫)।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বেতনা নদী খননের বিনেরপোতা সড়ক দিয়ে নদী খননের মাটি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। এতে করে মাটিবহন ট্রাক্টর থেকে সড়কে মাটি পড়ে শুক্রবার বিকেলে হালকা বৃষ্টিতে পিচে কাদায় পরিণত হয়। একপর্যায়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বিনেরপোতায় আব্দুর রহমান কলেজের সামনে মোটরসাইকেলটি পৌছালে ওই পিচের রাস্তায় পরিণত হওয়া কাদায় সীল্পে পড়ে ঢাকা মেট্রো ছ ৭১-০৫৩৬ এ্যাম্বলেন্সের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল তিন আরোহী আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নিয়ে গেলে আহতদের মধ্যে বজলুল রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেতনা নদী খননের মাটি সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে বহনের ফলে সেই মাটি রাস্তায় পড়ে ধুলাবালিতে পরিণত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেও কাদার সৃষ্টি হচ্ছে। এই পর্যন্ত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। আজ দুই জন নিহত হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী জানান, বজলুর রহমান, আব্দুস সালাম ও হাফিজুর রহমান ব্যক্তিগত কাজ শেষে পাটকেলঘাটা থেকে মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরায় ফিরছিলেন। বিনেরপোতা এলাকায় এসে পৌছালে পেছন থেকে দ্রুতগামী একটি এ্যাম্বুলেন্স তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে গরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে বজলুর রহমান মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুস সালাম। হাফিজুর রহমান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত)।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ