কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদেরকে টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায় ম্যাজিস্ট্রেট। যা নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুর ২টায় সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসকের সাথে শাখা ছাত্রলীগের আলোচনার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক।
এর আগে, দুপুর ১ টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ২৪ নাম্বার ওয়ার্ডের ভোট চলাকালীন সময়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজকে ভোটারদেকে টাকা দেওয়ার অভিযোগে আটকের চেষ্টা করেন বিজিবির ম্যাজিস্ট্রেট। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করলে পরবর্তী সদর দক্ষিণের থানা অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। আন্দোলন আরও তীব্র হলে জেলা প্রশাসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের।
ঘটনার সময় ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত কুমিল্লা জেলার সহকারী কমিশনার মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ভোটারদেরকে টাকা দেওয়ার অভিযোগে ইলিয়াসকে ডেকে কথা বলতে চাই আমরা। এর মাঝেই ছাত্রলীগের ছেলেরা এসে তাকে নিয়ে যায়। তার পকেটে প্রায় ৭০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম আমরা।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমি কর্মীদেরকে খাওয়ানোর জন্য টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলাম। ক্যাম্পাস গেটে গিয়ে সৌদিয়া (কোটবাড়িতে অবস্থিত রেস্টুরেন্ট) থেকে খাবার আনার জন্য লোক খুঁজছিলাম। তাছাড়া আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমার কাছে সবসময় ২০-৩০ হাজার টাকা থাকতেই পারে। আমি কোনো ভোটারকে টাকা দেইনি এবং ভোটকেন্দ্রের আশেপাশেও যাইনি। আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি ডিসি মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা লিখিত অভিযোগ দেব। এবং যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহবান জানাব।
এই বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এর সাথে জড়িত সেহেতু আমরা চাইবো বিচার হোক। জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলার পর তারা বলেছেন যদি ওরা (ছাত্রলীগ) লিখিত অভিযোগ দেয় সেক্ষেত্রে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এটা সম্পাদন করতে গিয়ে অনেক ধরনের তথ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমরা এই বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের কোন অভিযোগ থাকলে সেটা আমাদের কে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ