মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত এ বাহন দুর্ঘটনায় ঝড়ে পড়ছে তাজা প্রাণ। রাজশাহী নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। উঠতি বয়সী তরুণ শ্রেণীর যুবকরা মানে না কোনা নিয়ম-নীতি। বিশেষ করে ঈদ বা যে কোনো উৎসবকে ঘিরে আনন্দ-ফুর্তি করতে হেলমেট ছাড়াই তরুণ বাইকাদের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। মহাসড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলির রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ায়। এতে তারা দুর্ঘটনায় পড়লে সুরক্ষা সামগ্রী না থাকায় ক্ষতি বেশি হয়। তাই বাইকারদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের হেলমেট পরিধানে উৎসাহিত করতে সপ্তাহজুড়েই প্রায় ৫০০ হেলমেট বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এরপরও মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা হেলমেট না পড়লে আইনগত কঠোরতা আরোপ করা হবে।
আরএমপি পুলিশ কমিশনার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকে মারা যাচ্ছেন হেলমেট না পরার কারণে। আবার অনেকে গুরুতর আহত হচ্ছেন। নতুন সড়ক আইনে হেলমেট না পরার অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তারপরও সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে না। এ জন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহজুড়েই প্রায় ৫০০ হেলমেট বিতরণ করা হবে। এরপরেও হেলমেট ব্যবহার না করলে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে রাজশাহীতে বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণ শুরু হয়েছে। রবিবার বিকেলে মোটরসাইকেল নগরীর রেলগেট এলাকায় আরএমপি'র ট্রাফিক বিভাগ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের মাঝে বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে আরএমপি'র পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেন এবং তা ব্যবহারে অনুরোধ করেন। এই কর্মসূচি সপ্তাহব্যাপী চলবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মজিদ আলী বিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) সাজিদ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) অনির্বাণ চাকমা-সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ