ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাতক্ষীরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষকের মৃত্যু, গ্রেফতার ১  

প্রকাশনার সময়: ১২ জুন ২০২২, ২৩:৩৫

সাতক্ষীরায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিমাতা ভাই ও ভাইপোদের হামলায় গুরুতর আহত কৃষক আনছার আলী মারা গেছেন।

রোববার (১২ জুন) সকালে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আনছার আলী হত্যা মামলায় জুয়েল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত আনছার আলী (৬৮) সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের মৃত এছেম আলী সরদারের ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের মৃত এছম আলী সরদারের প্রথম স্ত্রীর ছেলে আনছার আলীদের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইউপি সদস্য হোসেন আলী গংয়ের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৯ জুন রাত ৮টার দিকে আনছার আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাইপাস সংলগ্ন নিজ মৎস্য ঘেরে অবস্থান করছিল। এসময় ঘেরের বেড়িবাঁধের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে মেম্বার হোসেন আলীর নেতৃত্বে তার ছেলে রুবেল হোসেন, জুয়েল হোসেন ও জুলু হোসেন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজ্জাকের উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। তাদের মারপিটে রাজ্জাক অচেতন হয়ে পড়লে তার পিতা আনছারী আলী ছেলেকে রক্ষা করতে ঘটনাস্থলে গেলেই রুবেল ছুটে এসে তার বুকে লাথি মারে। এতেই আনছার আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হোসেন আলী এবং তার অন্য দুই ছেলে জুয়েল ও জুলু তাকে বেধড়ক মারপিট করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আব্দুর রাজ্জাক এবং তার পিতা আনছার আলীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে, গুরুতর আহত আনছার আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রোববার সকালে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনসার আলী মারা যান।

এঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৮, ১১/০৬/২২। আসামিদের মধ্যে জুয়েল হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন। এঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য হোসেন আলী, রুবেল হোসেন ও জুলু হোসেন পলাতক রয়েছেন।

এবিষয়ে নিহতের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মেম্বার হোসেনের নেতৃত্বে তার তিন ছেলে আমাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল। আমার পিতা আনছার আলী তাদের হাত আমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তাদের হামলায় নিজেই মারা গেছেন। তার পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, বাবার মরদেহ খুলনায় রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর আজকেই সাতক্ষীরায় আনার চেষ্টা চলছে।

তবে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় ইউপি সদস্য হোসেন আলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিত অধিকারী বলেন, মারপিটের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যেহেতু আহতদের মধ্যে আনছার আলী রোববার মারা গেছেন, তাই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে।

তিনি আরও জানান, আসামিদের মধ্যে জুয়েল হোসেনকে বিনেরপোতা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নয়া শতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ