এই গ্রীম্মের মৌসুমের অন্যতম রসালো ও জাতীয় ফল কাঁঠাল। এই ফল ছোট বড় সকলে খেতে পছন্দ করে। কাঁঠাল পাকা খাওয়ার পাশাপাশি কাচা কাঁঠালের তরকারি খাওয়ার কদর রয়েছে যুগ যুগ ধরে। কাঁঠালের বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর একটি খাবার।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে এই রসালো ফল কাঁঠাল। উপজেলার কম বেশি প্রত্যেকটি বাড়িতে, রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে থাকা গাছে প্রচুর কাঁঠাল ঝুলছে। কিছু দিনের মধ্যে মন কাড়ানো রসালো কাঁঠাল ফলটি গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে হাট বাজারে। তবে এই ফলটি অল্প কিছু বাজারে উঠতে শুরু করেছে; কিন্ত ভরা মৌসুমের চেয়ে অনেক বেশি দাম বলে জানান ক্রেতারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি, পূরান টেপড়ি, মশিপুর, রূপসী, পাঁচিল বাজারসহ বেশ কয়েক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। গ্রামগুলোর মধ্যে খালি জায়গায় পুকুর পাড়ে, রাস্তার ধারে বাড়ির আঙিনায় ওহ রয়েছে অসংখ্য কাঁঠাল গাছ। গোড়া থেকে আগা পযন্ত শোভা বর্ধন করেছে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ জাতীয় ফল কাঁঠাল। এক একটি গাছে কম করে হলেও প্রায় ১৫-৩০টি কাঁঠাল ধরেছে। তালগাছি বাজারে এক মোটর মেকানিক দোকানে সামনে কাঁঠাল গাছে প্রায় দেড়’শ (১৫০)টি কাঁঠাল দেখা যায়।
তালগাছি এলাকার আল-আমিন সরকার বলেন, আমার ১৪টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছে ১৬-১৮ টার অধিক কাঁঠাল এমনকি আমার বড় কাঁঠাল গাছে গত বছরে ৪৪টি কাঁঠাল ধরেছিলো। আমি এই কাঁঠাল বিক্রি করি। বাজার থেকে মহাজনেরা বাড়িতে এসে কিনে নিয়ে যায়। নিজে খাই, আত্মীয়র বাড়িতে দেই, এলাকার মানুষের মাঝে কিছু দেই। কাঁঠাল হলো রসালো ফল- এই যেমন মানুষ আম, লিচু, জাম এর জন্য অপেক্ষা করলেও কাঁঠালের মুচি আসা থেকে শুরু করে কাঁঠালের পাকা পর্যন্ত ধীড়অবস্থায় অপেক্ষা করে এ ফলের জন্য ।
এলাকার আকরাম নামের এক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বাড়িতে ৩টি কাঁঠাল গাছ আছে। প্রত্যেক বছর ভালোই কাঁঠাল ধরে যা নিজেদের খাওয়া সম্ভব নয় তাই আমার নানী বাড়িসহ সকল আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি কাঁঠাল দেয়া হয়। মাঝে মাঝে আমরাও বাড়িতে বিক্রি করি।
পূরাণ টেপড়ি এলাকার বেল্লাল আলী বলেন, আমার বাড়িতে মোটে ৯টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। গাছ গুলোতে ১৮-১৯ টি করে কাঁঠাল ধরেছে। এখন যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে এ কাঁঠাল পাকতে এখনো মাস খানিক সময় লাগবে। গত বছরের চেয়ে এ বছরে আমার গাছে কাঁঠাল কম ধরেছে।
রূপসী এলাকার শফিকুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, আমাদের পুকুর পাড়সহ বাড়িতে ১২টি গাছ আছে। গত বছরে চাইতে এ বছরে কম ধরেছে, তবুও নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও ভালো টাকা আয় হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ