ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুনামগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ডুবে আছে হাওরে

প্রকাশনার সময়: ২৯ মে ২০২২, ১৬:৪০

হাওর অঞ্চল বছরের কয়েক মাস থাকে শুকনো আর বাকি সময় থাকে পানির নিচে। শুকনো মৌসুমে চলতে হয় পায়ে হেটে আর বর্ষায় চলতে হয় নৌকায় করে আর এ জন্যই স্বাস্থ্য সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার উদ্যোগ নেয় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের। যাতে করে হাওর এলাকার লোকজন চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ৬০ লাখ টাকার নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি পানিতে ডুবে আছে।

রোববার (২৯ মে) পর্যন্ত জানা যায় ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর এটি প্রদান করা হয়েছিল। অযত্নে, অবহেলায় থাকতে থাকতে এখন সেটি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আরেকটি ৩০ লাখ টাকার কাঠের অ্যাম্বুলেন্সও অকেজো হয়ে পড়েছে। এখন সেটির অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায় না।

শাল্লা উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি এখনো। হাওরের তলানির এই উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৬০ লাখ টাকার এই অ্যাম্বুলেন্সটি দিয়েছিল সরকার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জানায়, চালক না থাকায় ও পরিচালনা ব্যয়বহুল হওয়ায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি হাওর ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি পানিতে ডুবে আছে।

শাল্লা উপজেলা সদরের বাসিন্দা প্রতাপ দাস বলেন, কয়েক বছর হয়েছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলা হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি এখন পানিতে ডুবে আছে।

শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তার জানান, আমি শাল্লায় নতুন যোগদান করেছি। যতটুকু জানতে পেরেছি নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরেই অকেজো হয়েই পড়ে আছে। এই বিষয়টি সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি পানি থেকে তুলতে চেয়ারম্যান ও ইউএনও সাহেবকে অনুরোধও করা হয়েছে।

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব জানান, নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি গত ৪-৫ দিন ধরেই পানিতে পড়ে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অ্যাম্বুলেন্সটি তোলার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। পাঁচ দিন আগেই ১০ জন শ্রমিক পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা এটি পানি থেকে তুলতে পারে নি। সোমবার উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এই বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডা. আহমদ হোসেন জানান, নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্বোধনের পর থেকেই বিকল হয়ে রয়েছে। এটি পানিতে ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয়ভাবে চেষ্টা চলছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ