রাজশাহীর চারঘাটে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে চারঘাট-বাঘা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় গ্রামবাসীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চারঘাট-বাঘা মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

শনিবার (২১ মে) সকাল এগারোটা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। দীর্ঘ সময় পর চারঘাট পৌরসভার মেয়র একরামুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবিলম্বে রাস্তা মেরামতের আশ দিলে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী চারঘাট উপজেলার মোক্তারপুর ট্রাফিক মোড় থেকে ইউসুফপুর টাঙ্গন হয়ে রাজশাহী শহরে প্রবেশের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খানা-খন্দে বেহাল দশা বিরাজ করে। ভারী যানবাহন চলাচল ও দীর্ঘদিন রাস্তাটির সংস্কার না করার কারণে রাস্তাটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম ঝুঁকির সম্মুখিন হতে হয়। বিভিন্ন স্থানে রাস্তাটি দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ফলে ভাঙ্গাচোরা রাস্তাটি দিয়ে চলতে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। এর পরেও যেন টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটির করুণ পরিণতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীসহ এলাকাবাসীর দাবি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা বিক্ষোভ কর্মসুচী অব্যাহত রাখবেন।

মোক্তারপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যালয়ে আসতে হলে ওই একমাত্র রাস্তাটি ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি দিয়ে বালুবাহি ভারী যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে এই রাস্তাটি এমন করুণ পরিণতি। তা ছাড়া রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। কাদা মাটি ভেদ করে তাদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়।

এ প্রসঙ্গে চারঘাট উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক মাস পূর্বে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু অধিক বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। তবে রাস্তাটি যাতে ভারী যানবাহন চলাচল করলেও কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় রাস্তাটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফকরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে রাস্তাটির বিষয়ে সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়েছে। রাস্তাটি টেকসই করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়া শতাব্দী/জেআই