ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমি খুব অবাক হয়ে যাই যখন দেখি স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও রাজাকারের সন্তানরা দম্ভ করে বলে আমি রাজাকারের সন্তান। রাজাকারের সন্তানদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন করেছে তাদের যে আত্মত্যাগ তা এদেশের মানুষের স্মরণ করতে পারে। আজকে যেখানে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে তা সম্ভব হয়েছে এদেশের লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের আহ্বান।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’ এবং নোয়াখালী জেলা পুলিশের তিনটি নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জেলার পুলিশ সদস্যদের অনন্য অবদান নিয়ে প্রকাশিত বইটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। এমন উদ্যোগের জন্য তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। ‘নির্ভীক’ ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন করে শেখাবে।
কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রামাণিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) পিটিসি নোয়াখালী এস.এম রোকন উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি (এ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যন্স) মো. ইকবাল হোসেন ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা ধর্মী গ্রন্থ। নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগ ও বীরত্ব গাথা কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে এ গ্রন্থে।
তিনি আরও বলেন, নির্ভীক ভাস্কর্যটি নির্ভীক মহান মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী জেলা পুলিশের গৌরবদীপ্ত অবদান স্মরণে নির্মিত। এতে মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী জেলা পুলিশের দুঃসাহসী ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ