সাতক্ষীরায় পেটে জোড়া লাগানো দুই যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার (১৪ মে) দুপুর তিনটার দিকে জেলার শ্যামনগর উপজেলার এম.আর.এ ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে তহুরা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ ওই যমজ শিশুর জন্ম দেন। তিনি শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রামের ফজর আলী স্ত্রী।
এব্যাপারে তহুরা খাতুনের পরিবারের লোকজন জানান, 'শনিবার সকালে তহুরার প্রসববেদনা উঠলে দ্রুত তাকে উপজেলার এম.আর.এ ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। পরে বিকাল তিনটার দিকে সিজারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম হয়। সিজারটি করেন ক্লিনিকের ডা: আনিছুর রহমান ও ডা: ফতেমা ইদ্রিস ইভা।'
তারা আরো বলেন, 'জন্ম নেওয়া দুই শিশুর পেটের অংশটি জোড়া লাগানো। বর্তমানে জোড়া শিশু দুটি ভাল আছে থাকলেও তাদের মা কিছুটা অসুস্থ্য।'
এব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ হুসাইন শাফায়াত বলেন, 'অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জন্ম নেওয়া জোড়া লাগানো শিশুর এক হার্টবিট কাজ করে। এছাড়াও দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সমস্যা দেখা দেয়। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে জোড়া লাগানোর শিশুর চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিলো না। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে জোড়া লাগানো শিশুর চিকিৎসা করানো সম্ভব।'
তিনি বলেন 'সাতক্ষীরায় জোড়া লাগানো শিশুর চিকিৎসা কখনো হয়নি। এজন্য জন্ম নেওয়া ওই দুই নবজাতককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হলে ভালো হবে। সেখানকার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা এ বিষয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারবেন।'
এব্যাপারে জোড়া শিশুর বাবা ফজর আলী বলেন, ‘আমি শুনেছি জোড়া লাগানো বাচ্চা হয়, তবে কখনো এমন বাচ্চা দেখিনি। আমি গরিব মানুষ। কোথায় চিকিৎসা হয়, কিছুই জানি না। আমি ডাক্তারদের সহযোগিতা চাই।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ