সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শেষ হলো ঐতিহ্যবাহী বিয়ারা মেলা। মেলাটি বাঙালি সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের প্রতীক। বৈশাখ মাসের প্রতি শনিবার মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। করোনার কারণে দুই বছর মেলাটি হয়নি যার কারণে এ এলাকার মানুষের মধ্যে বাড়তি আনন্দ ছিল। শেষ মেলায় লোকজনের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শেষ হলো।
বিয়ারা মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মেলাটি বসানোর জন্য কোন প্রচার-প্রচারণা করতে হয়না। লোকজন ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা এমনিতেই জানে বৈশাখ মাসের প্রতি শনিবারে মেলাটি বসবে। তাই বৈশাখ মাসের মধ্যে যে কয়েকটি শনিবার হয় সেই শনিবারের দিন যার যার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য মেলায় আসে।
মেলাটি শুরু হয়েছিল কত সাল থেকে কার হাত ধরে তেমন কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় সম্রাট আকবরের সময়কালে বৈশাখ মাসে কৃষকদের খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। সেই সময় এই অঞ্চলের কৃষকেরা খাজনা মাশুলও শুল্ক পরিশোধ করতে তাদের ফসল বিক্রির জন্য এই মেলাটি প্রতিষ্ঠা করেছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাটির তৈরি তৈজসপত্র, মাটির টেপা পুতুল, কাচের চুড়ি, পাট পণ্যের পাশাপাশি কাঠের পুতুল, হাতপাখা, মুড়ি-মুড়কি, বাঁশি, শিশুদের খেলনা, টমটম গাড়ি, ইমিটেশনের গহনা, শীতলপাটি, গাছের চারা, মাছ ধরার চাঁই, ডালা, কুলা, দা-বঁটি, প্লাস্টিকের ফুলসহ বাহারি সব জিনিস কিনে নিচ্ছেন মানুষজন। বেশি ভিড় দেখা যায় মিস্টি ও ঝুড়ি-বুন্দির জিনিসপত্রের দোকানে।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ