ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অ্যামাজনের হেড অফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের গৌরব

প্রকাশনার সময়: ১০ মে ২০২২, ০০:০০

বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি পেয়েছেন নীলফামারীর ছেলে মো. খাইরুল্লাহ গৌরব। বর্তমানে সে অ্যামাজনের আয়ারল্যান্ডে ডাবিং সিটিতে হেড অফ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডেভেলাপিং কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। সেখানে তিনি ছয়মাস ধরে কর্মরত রয়েছেন। গৌরব সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ির বড় ছেলে। তার পিতা আলমগীর সরকার ও মাতা স্বপ্না আলমগীর। চাকরির বিষয়টি গৌরবের পরিবার নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা জীবনে গৌরব শিশুকালে নীলফামারী শহরের উদয়ন শিশু বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা শুরু করেন। মেধার পরিচয় দিয়ে প্রাথমিকে স্কুল পড়া শেষ করে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

এরপর নীলফামারী সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার সুযোগ পান। সেখান থেকে সফলভাবে কম্পিউটার এন্ড সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ২০১৫ সালে শেষ করেন। পড়াশোনা শেষ করে একদিনও বসে না থেকে অরবিটেক্স কোম্পানীতে যোগদান করেন।

সেখানে তিন বছর চাকরি করার পর ডাক পান থাইল্যান্ডের টুসিটুপি কোম্পানীতে। সেখানে এক বছর চাকরি করে অবশেষে অনেক চেষ্টার পর ডাক পান অ্যামাজনে।

মুঠোফোনে খাইরুল্লাহ গৌরব বলেন, ‘আমার এই জার্নিটা সহজ ছিলো না। এর পিছনে ছিলো অনেক ত্যাগ, কঠোর পরিশ্রম আর ডেডিকেশন। পড়াশোনা শেষ করেই একদিনও বসে না থেকে দেশের একটি কোম্পানীতে যোগদান করি। এরপর থেকেই লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের বৃহত্তম কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করবো। সেই লক্ষ অনুযায়ী আমি কাজ করে গেছি। কথায় আছে ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। আমিও কষ্টের ফল পেয়েছি। এমন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার অনুভুতি সত্যিই অসাধারণ। ফেসবুক, অ্যামাজন, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার অনুভুতি আসলে যে পায়, সে ই বুঝে। এই দীর্ঘ পথচলায় আমার পরিবার আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। যার কারণে আমি এতো দূর আসতে পেরেছি।’

চাকরি পাওয়ার বিষয়টি ছয় মাস পর প্রকাশ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ আমি নিয়োগ পেয়েছি অনেক আগে কিন্তু আমি কোনো কিছু শো-অফ করা পছন্দ করতাম না। কিন্তু পরে ভাবলাম আমার সফলতার কথা তুলে ধরলে আমার দেশের সুনাম বাড়বে, এলাকার সুনাম বাড়বে। এমনকি হতে পারে আমাদের দেখে অনেক দেশের তরুণ-তরুণী অনুপ্রাণিত হতে পারে। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক রাখতে পারলেও আমাদের তরুণ-তরুণীরাও দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।’ৎ

বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে সন্তানের চাকরি পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করেন গৌরবের বাবা আলমগীর সরকার। তিনি বলেন,‘ আমার ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনায় অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলো। তার লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য ছিলো সু-স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট। তার পরিশ্রম ও মেধার ফলেই আজ সে সফলতার চূড়ায় পৌছাতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশবাসী ও নীলফামারী বাসীর জন্য গৌরবের বলে আমি মনে করি।’

নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ