ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাণীশংকৈলর কৃষকের ছেলের বিমান উড়ছে আকাশে

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২২, ১৪:৫৮

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামের দরিদ্র কৃষকের ছেলের বিমান উড়ছে আকাশে। তার এই আবিষ্কার এলাকায় সৃষ্টি করেছে চাঞ্চল্য। দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সালাউদ্দিনের স্বপ্ন পাইলট হওয়ার। তার তৈরি বিমান পাঁচ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ রেখায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ফুট উচ্চতায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ২০ মিনিট উড্ডয়ন করতে পারে।

জানা গেছে, সালাউদ্দিন গ্রামের কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে দূরপাল্লার চালকবিহীন বিমান তৈরির কাজ শুরু করেন। চার বছরের চেষ্টায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিমান উড্ডয়নে সক্ষম হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগে অধ্যয়ন করলেও দৃষ্টিটা ছিল বিজ্ঞানের দিকে।

সালাউদ্দিন জনি জানান, ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম বৈমানিক হয়ে আকাশে ছুটে বেড়ানোর। আকাশে বিমান উড়ে যাওয়ার শব্দের উৎসের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। খুঁজে বের করার চেষ্টা করতাম- শব্দের উৎসের। দিন দিন ছোট থেকে বড় হয়েছি। স্বপ্ন টাকেও মনের মধ্যে পুষেছি। কিন্তু বাস্তববায়ন সম্ভব করতে পারিনি। আমাদের মত দারিদ্র্য পরিবারে এসব যে শুধু কল্পনাতেই মানায়, বাস্তবে নয়৷ আমার ফেইসবুক লিস্টে কয়েকজন বন্ধু ছিল যারা চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এয়ারক্রাফট মেইনট্যান্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তেন, এবং তারা এয়ারক্রাফট এর বিভিন্ন অংশ এবং এর কাজ নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে দিতেন৷ এসব দেখে আমি প্রাথমিকভাবে শিখি। এবং দীর্ঘদিন এটা নিয়ে কাজকরে ফাইনালি সফল হই৷ তিনি বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

বন্ধুদের নিয়ে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বশেমুরবিপ্রবি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) বিজ্ঞান ক্লাব। শুরু করেন ড্রোন বানানোর কাজ। পরে বাঁশ, কাঠ, ককশিট, ফোমশিট ব্যবহার করে ছোট আকারের ড্রোন তৈরিতে সফল হন। যার ওজন এক কেজি।

স্থানীয়রা জানান, সালাউদ্দিনের তৈরি করা বিমান আকাশে উড়ছে দেখে আমরা মুগ্ধ। আমরা সকলেই চাই সে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য যেন তাকে সরকারিভাবে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবীর স্টিভ জানান, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তার উদ্ভাবন অসাধারণ। সে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব তার পাশে থেকে সহযোগিতা করার।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ