ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লন্ডনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জগন্নাথপুরের ৮ জন বিজয়ী

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২২, ১৪:০৭

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সুনামগঞ্জের প্রবাসী–অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার অন্তত আটজন প্রবাসী বাংলাদেশি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের বিজয়ের খবরে ওই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আনন্দের বন্যা বইছে। বিজয়ী কাউন্সিলরদের স্বজনেরা আনন্দ-উচ্ছ্বাস ও এলাকাবাসীর মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করছেন।

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে থাকা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের ছয়জন প্রবাসী কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শাহারপাড়া গ্রামের সাবিয়া কামালী লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে লন্ডন বারা অব নিউ হামের স্টাটপোর্ট এলাকা থেকে, সৈয়দপুর গ্রামের সৈয়দা সায়মা আহমেদ লন্ডনের রেড ব্রিজ এলাকা থেকে দ্বিতীয়বারের মতো, একই গ্রামের সৈয়দ আলী আহমেদ লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে রচডেল এলাকায় তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এ ছাড়া একই গ্রামের সৈয়দ শেকুল ইসলাম লেবার পার্টি থেকে লন্ডনের রেড ব্রিজ বারার ক্রানব্রুক ওয়ার্ডের, শেখ আবদুল কাদির লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিসেবে সেন্ট্রাল সাউথসি ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো এবং সৈয়দ আবদুল হাফিজ লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে লন্ডন পোর্ট সাউথ বাফিন্স ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। আবদুল হাফিজ টানা তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি সৈয়দপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সৈয়দ শেকুল ইসলামের শ্যালক সাংবাদিক রেজুওয়ান কোরেশী বলেন, ‘আমার বোনজামাই সৈয়দ শেকুল ইসলাম চার মাস আগে দেশে এসে গ্রামের বাড়িতে এক মাস থেকে গেছেন। তিনি গ্রামের মানুষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখেন। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখেন। তার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার খবরে আমরা খুবই খুশি।’

অন্যদিকে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শাকিলা বেগম ওয়ালসাল পালফ্রি ওয়ার্ড থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। আর রেবেকা সুলতানা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল বেথনাল গ্রিন ওয়ার্ডে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার বাড়ি উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরন। তার স্বামী আহাদ চৌধুরী লন্ডনের ‘দ্য এডিটরস’-এর সম্পাদক।

আরেক কাউন্সিলর শেখ আবদুল কাদিরের ভাতিজা শেখ রামিম আহমেদ বলেন, তার চাচা লন্ডনে কাউন্সিলর পদে জয়ী হওয়ার খবরে পাড়া–প্রতিবেশী ও স্বজনদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ চলছে। তিনি দেশে এলে আরও বড় পরিসরে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। লন্ডনের পাশাপাশি গ্রামের উন্নয়নে তিনি অনেক ভূমিকা রাখছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ রাহমান ও আমিনুল হক ওয়েছ বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র পদে সিলেটের লুৎফুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলর পদে বিভিন্ন শহর থেকে ইতোমধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলার আটজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বিজয়ে লন্ডনের বাঙালি কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা বইছে।

সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবুল হাসান বলেন, লন্ডন থেকে দেশে এসে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আবার বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে গিয়ে এলাকার সন্তানেরা মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হচ্ছেন, যা সত্যিই গৌরবের। তাঁর ইউনিয়নের পাঁচজন বাসিন্দা যুক্তরাজ্যে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় ইউনিয়নবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি বলেন, তারা নির্বাচিত হওয়ায় দেশে থাকা স্বজনদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস, মিষ্টি বিতরণ চলছে।

জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ কাদির বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাচনে সিলেটের লুৎফুর রহমান তৃতীয়বারের মতো মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে জগন্নাথপুরের বাসিন্দাদের জয়জয়কারে আমরা সত্যিই খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।’

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ