রাজশাহীতে জ্বালানী তেলের সংকটে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। ঈদের ছুটির পর হঠাৎ পেট্রল -অকটেনের সংকট বিরাজ করছে। রাজশাহী মহানগরের অনেক পেট্রল পাম্পেই এখন পেট্রল -অকটেন নেই বলে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। অনেকে ফুয়েল স্টেশনগুলোতে পেট্রল আছে তো অকটেন নেই, অকটেন আছে তো পেট্রল নেই বলে দাবি করছেন। লিটারে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহী মহানগর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের পাম্পগুলোতেও পেট্রল -অকটেন কোনোটাই মিলছে না। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে খুচরা পর্যায়ে বেশি দরে বিক্রি করছেন। তবে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় তেল সরবরাহ কম। তাই জ্বালানি তেলের সংকট জানান পাম্প মালিকরা।
রাজশাহী জেলা পেট্রল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, জেলার নয় উপজেলায় ৪৮টি তালিকাভুক্ত পেট্রল পাম্প রয়েছে। কিন্তু গত প্রায় তিন মাস থেকে এগুলোতে পর্যাপ্ত পেট্রল -অকটেন মিলছে না। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জ্বালানি তেলের এ সংকট বেড়েছে। এজন্য পাম্পগুলো তেল শূন্য।
বর্তমানে খুচরা বাজারে কোথাও কোথাও বেশি দামে জ্বালানি তেল মিলছে। তবে এজন্য লিটার প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আবার কোনো কোনো এলাকার পেট্রল পাম্পে সরকার নির্ধারিত দরে সীমিত পরিসরে লিটার প্রতি পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা ৭৭ পয়সা ও অকটেন বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকায়।
বাঘার স্থানীয় মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী লাল মোহাম্মদ লালন নামের এক ব্যক্তি জানান, রোববার সকালে একটি দোকানে গিয়ে এক লিটার পেট্রল নিয়ে ১০০ টাকার নোট দিলাম। দোকানদার ৫ টাকা ফেরত দিলেন। কিছু না বলে চলে আসি। আমি পরিচিত বলে ৫ টাকা ফেরত দিলেন। আমার জানা মতে অন্যদের কাছে থেকে প্রতি লিটারে আরো টাকা বেশি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় পেট্রল ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, আমরা যেখান থেকে পেট্রল ক্রয় করি, সেখানে দাম বেশি নিচ্ছে। তবে বেশি দামের কোন শ্লিপ দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী পেট্রল কিনে বিক্রি করি। আমার দোকানে কোন পেট্রল সংরক্ষিত নেই।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, পেট্রোলের কোন সংকট নেই। সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কোন দোকানদার অতিরিক্ত দাম নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ