চাহিদা অনুযায়ী পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহ না থাকায় নীলফামারীতে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে জ্বালানী তেলের। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে জেলার ছয় উপজেলার ৩৬টি তেল পাম্প। গত সাতদিন ধরে ওই পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। তবে ডিপো থেকে সরবরহ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
পেট্রোল না থাকায় বেশী দামে অকটেন ব্যবহার করতে হচ্ছে চালকদের। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে মজুদকৃত অকটেন শেষ হয়ে যাবে
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নানা অজুহাত দেখিয়ে তেল কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ডিজেল ও কেরোসিনের সরবরাহ ঠিক রয়েছে।
এদিকে পাম্পগুলোতে পেট্রোল সংকট থাকায় চালকরা বিভিন্ন ষ্টেশন ঘুরে ঘুরে পেট্রোল না পেয়ে বাধ্য হয়ে গাড়িতে অকটেন ব্যবহার করেছেন। এ অবস্থায় খরচ বেড়ে যাওয়া আর পরিমাণ মতো জ্বালানী তেল না পাওয়ায় চালকসহ, সাধারণ মানুষ পড়ছে চরম বিপাকে।
মোটরসাইকেল চালক আব্দুল জলিল বলেন, তেল সংকটের কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। আজ আমি ৪-৫ পাম্প ঘুরে একটি পাম্পে তেল নিলাম। তাও আবার পেট্রোল না অকটেন। ২শ' টাকার বেশি দিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে। আমরা চাই দ্রুত পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহ করা হউক।
জ্বালানী সংকটের কথা স্বীকার করলেও বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছে নিজেদের নিরূপায় দাবী করছেন পাম্পের কর্মচারীরা। নীলফামারীর কালিতলা এলাকার রফিকুল আলম ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার শাহ্ আলম জানান, গত ৭দিন আগেই আমাদের পেট্রোলের স্টক শেষ হয়েছে। এখন অকটেন বিক্রি করছি। অকটেনও শেষ হওয়ার পথে।
নীলফামারী জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন স্বপন জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে তেলের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে পে-অর্ডার পাঠানোর পরও কোম্পানীর ডিপোগুলো থেকে পেট্রোল ও অকটেন সরবরাহ করছে না। বর্তমানে যতটুকু অকটেন আছে দু-একদিনে চলবে। এরপর পাম্পগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। গত কয়েকদিন ধরে পাম্পগুলোতে পেট্রোল বিক্রি করতে পারেনি মজুদ না থাকার কারনে। ফলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা দুই পক্ষই ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ডিপো থেকে বিপিসি'র মাধ্যমে যদি তেল বন্টনের করা যেত তাহলে তেলের সংকট অনেকটাই কমে যেত।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ