পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ উদযাপন শেষে রোববার থেকে সব ধরনের অফিস, দোকানপাট ও গার্মেন্টস খোলা থাকায় কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের চেয়ে তুলনামূলক শনিবার (৭ মে) যাত্রীর চাপ কম ছিল।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে কর্মমুখী মানুষজনকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে। শিমুলিয়া ঘাটে স্পিডবোটে যাত্রীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকার ভাড়া ১৭০ টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ জনের জায়গায় ১৫/১৬ যাত্রী নিয়ে চলতে দেখা গেছে স্পিডগুলো। অপর দিকে, লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করছে। কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও দেখছে না।
অন্যদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে বাসেও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসি বাসে ১৫০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর নন এসি বাসের ভাড়া ৮০ টাকার স্থলে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপার বিষয়ে স্পিডবোট ও লঞ্চের মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঈদ শেষ তাই ফিরতি পথে যাত্রী হয় না, কখনও খালি যেতে হয়, তাই একটু যাত্রী বেশি নিলে পুষিয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সোলাইমান জানান, শিমুলিয়া থেকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয় না। বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এলে আমাদের কিছু করার থাকে না।
এছাড়াও শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌপথে সীমিত ফেরি চলাচলে ঈদযাত্রা ও ঈদ পরবর্তী যাত্রায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ দুটি নৌপথে মাত্র ১০টি ফেরি চালু রয়েছে। আগে যেখানে ১৬/১৭টি ফেরি চলাচল করতো।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ