সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ৩৩টি কচ্ছপ ছানার জন্ম হয়েছে। একটি বাটাগুরবাস্কা কচ্ছপের দেয়া ৩৪টি ডিমের মধ্যে ৩৩টির বাচ্চা ফুটে বের হয়েছে। শনিবার (৭ মে) সকাল থেকে জন্মের পর স্যান্ডবীচ (বালুর চর) থেকে বাচ্চাগুলো তুলে সংরক্ষণ প্যানে (ছোট পুকুর আকৃতি) রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজাদ কবির। এর আগেও এই বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে পাঁচবার বাটাগুর বাচ্চা ফুটেছে। গত ৬ মার্চ একটি কচ্ছপের দেওয়া ৩৪টি ডিম থেকে এই ৩৩টি বাচ্চা ফুটলো।
তিনি জানিয়েছেন, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ের স্যান্ডবীচে একটি বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির কচ্ছপ ৬ মার্চ ৩৪টি ডিম দেয়। এরপর শনিবার (৭ মে) ভোর থেকে ডিম হতে বাচ্চা ফুটে বের হতে শুরু করে। ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত একে একে ৩৩টি বাচ্চা ফুটে বের হয়। একটি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। ৯টার পর স্যান্ডবীচ থেকে বাচ্চাগুলোকে তুলে ওই কেন্দ্রের প্যানে রাখা হয়েছে। প্যানে রেখে লালনপালনের পর কেন্দ্রের বড় পুকুরে এগুলো ছেড়ে দেয়া হবে।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সূত্র জানান, সুন্দরবনের করমজলে বিলুপ্ত প্রায় বাটাগুরবাস্কা প্রজাতির কচ্ছপের সংরক্ষণ ও বংশ বিস্তারে ২০১৪ সালে এ প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এদেশের বনবিভাগ ও আমেরিকা এবং অস্ট্রিয়ার দুইটি সংস্থা যৌথভাবে এ কেন্দ্রটি গড়ে তোলে। ২০১৪ সালে ৮টি কচ্ছপ দিয়ে এর প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১৭ সালে দুটি কচ্ছপ যথাক্রমে ৩১ ও ৩২টি ডিম পাড়ে। তা থেকে ২৮ ও ২৯টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে দুটি কচ্ছপ যথাক্রমে ২৬ ও ২০ ডিম পাড়ে। তা থেকে যথাক্রমে ৫ টি ও ১৬ টি বাচ্চা পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চাই পাওয়া যায়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা পাওয়া যায়। এসব বাচ্চা বর্তমানে কেন্দ্রে বড় হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ