ঈদে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের দ্বীপগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক হলুদ বিহার। ঈদুল ফিতরের আনন্দকে উপভোগ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে হলুদ বিহার দর্শনের জন্য ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
একই সাথে ঈদের আনন্দকে রাঙিয়ে তুলতে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষেরা ভিড় করছে ঐতিহাসিক স্থান ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। জেলার বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা হলুদ বিহার, পাহাড়পুর সহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো এখন মানুষের পদচারণায় মুখরিত।
ঈদের দিন বিকেল বেলা থেকে শুরু করে বুধবার ঈদের পরদিনেও প্রত্যেকটি বিনোদন কেন্দ্রে ছোট-বড়দের উপচেপড়া ভিড়। দর্শনার্থীদের ঈদের আমেজকে বাড়িয়ে দিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোও সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।
কোভিড-১৯-এর কারণে ২ বছর বন্ধ থাকার পর ঈদের ছুটির সঙ্গে এবার সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় আনন্দ-উপভোগের বাড়তি সুযোগ মিলেছে কর্মব্যস্ত মানুষদের।
ঈদের দিন বিকেল থেকেই শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে বদলগাছী উপজেলার হলুদ বিহারে এলাকায় জনস্রোত ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে অনেক খুশি। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আগের দুবছর বন্ধ থাকায় ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে মানুষজন না আসায় ব্যবসা মন্দা ছিলো এবার অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারছি।
ঘুরতে আসা জৈনক রায়হান বলেন, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাচ্চাকাচ্চা স্ত্রী সহ ঘুরতে এসেছি। হলুদ বিহার এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক দর্শনিয় স্থান। লোকসমাগম দেখে ভালোই লাগছে।
জৈনক সাদিকুর রহমান বলেন, হলুদ বিহার ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্য অন্যতম। বিশেষ দিনগুলিতে উপচে পরা ভিড় লক্ষণীয়। সে তুলনায় বিহারটি বিলুপ্তপ্রায়। এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কাম্য। সংস্কার এর পাশাপাশি সোন্দর্য বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে আরো দর্শনার্থী আসবে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে বিলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান কেটু বলেন, ইউনিয়নে একমাত্র বিনোদন এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন এই হলুদ বিহার। অবিলম্বে বিহারটিকে দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজন। নতুবা কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ