ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মায়ের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে গুলি করে হত্যা

প্রকাশনার সময়: ০৪ মে ২০২২, ১১:৫৭

বগুড়ায় মায়ের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে আব্দুর রাজ্জাক সরকার (৬৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও তিনজন আহত হন।

মঙ্গলবার (৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া সদরের মহিষবাথান বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আব্দুর রাজ্জাক সরকার মহিষবাথান গ্রামের আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে। তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। তবে বগুড়া শহর ও গ্রামের বাড়িতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জায়গা জমি থাকায় বছরের অর্ধেক সময় বগুড়ায় থাকতেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক আগে আব্দুর রাজ্জাক সরকারের মা মারা যান। মঙ্গলবার রাতে তিনি বগুড়া শহর থেকে একটি অটোরিকশাযোগে মহিষবাথান গ্রামে যান। সেখানে মায়ের কবর জিয়ারত শেষে একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় তার ভাতিজা ওমর খৈয়ম সরকার রোপনের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। এরপর একজন ধারাল অস্ত্র দিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে কোপাতে থাকেন। এসময় তিনি তার ব্যবহৃত লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিছু দূর গেলে ত্রিমোহনী নামক স্থানে আব্দুর রাজ্জাক রাস্তায় পড়ে যান। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে ও এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিষবাথান গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, রোপন সরকারেরর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রাজ্জাক সরকারের ওপর হামলা করলে গ্রামের কিছু লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের এলোপাথাড়ি গুলিতে আব্দুল হান্নান নামে একজন গুলিবিদ্ধ হলে গ্রামের লোকজন পিছু হটে।

স্থানীয়দের ধারণা, আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারের সবাই আমেরিকা থাকায় সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে ভাতিজা রোপনের নেতৃত্বে তাকে হত্যা করা হয়।

এদিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে গুলিবিদ্ধ আব্দুল হান্নান ছাড়াও জনি ও আল আমিন নামে আরও দুই যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ জনি ও আল আমিনকে আটক দেখানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও বেশ কিছু গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ