চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বরিশালের ৪৫ গ্রামে সোমবার (২ মে) পবিত্র ঈদ-উল ফিতর পালন করা হবে। চট্টগ্রামের চন্দ্রনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফ এবং আহমাদিয়া জামাত (কাদেরিয়া তরিকার) অনুসারী এসব গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশের চেয়ে একদিন আগে রোজা রাখেন এবং ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
জানা গেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের দুই হাজার মানুষ চট্টগ্রামের চন্দ্রনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফ ও সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফের অনুসারী। একইভাবে বরিশালের হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ বাংলাদেশের চেয়ে একদিন আগে রোজা পালন করেন এবং একদিন আগেই ঈদ পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এছাড়া পটুয়াখালী জেলার ২২ গ্রামের ৫ হাজার মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে, গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরী বুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পাড়া, বাউফলের রাজনগর, বগা, তাঁতেরকাঠি, মদনপুরা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি চন্দ্রপাড়া, কনকদিয়া, দিপাশা, শাপলা খালী, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার দনি দেবপুুর।
ভোলা জেলার ৫ উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের লোকজন সুরেশ্বরী ও সাতকানিয়া পীরের অনুসারী। তারা বিশ্বের যে কোন স্থানে প্রথম চাঁদ দেখা অনুসারে রোজা পালন শুরু করেন। সে অনুযায়ী ভোলা সদরের ইলিশা, বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন, টবগী, পয়িা ও পশ্চিম মুলাইপত্তন, লালমোহন পৌর এলাকার কিছু অংশ এবং উপজেলার ফরাজগঞ্জ ও লাঙ্গলখালী, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর ও শম্ভুপুর এবং চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ আগাম ঈদ পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
একইভাবে আহমাদিয়া জামাত (কাদেরিয়া তরিকার) অনুসারী বরগুনা জেলার আমতলী, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর, বেতাগী উপজেলার কাদেরিয়া তরিকার পীরের পাঁচ সহস্রাধিক অনুসারী আগাম ঈদ পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যা রাতে বরিশালের বাবুগঞ্জের চাদপাশার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তারা চট্টগ্রামের চন্দ্রনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদ পালন করেন। সেখানকার বার্তা অনুযায়ী চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোমবার ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।’
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ