ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মধুখালীতে সয়াবিন তেলের সংকট

প্রকাশনার সময়: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৪৬
ফাইল ছবি

মধুখালীতে ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ কমে গেছে। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তারা অর্ডার দিয়েও চাহিদামতো তেলের সরবরাহ পাচ্ছেন না। আবার কোনো কোনো ব্র্যান্ডের তেলের নতুন অর্ডার নেয়া হচ্ছে না।

গতকাল মধুখালীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানেই পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল নেই। দোকানিরা জানান, সয়াবিন তেল নেই। এক লিটার ও দুই লিটারের বোতল কিছু থাকলেও পাঁচ লিটারের কোনো সয়াবিন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাজারজাতকারী কম্পানিগুলো চাহিদামতো সরবরাহ না করায় সয়াবিন তেলের এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন।

মধুখালী বাজারের মোল্যা স্টোরের মালিক মো: আমিনুল ইসলাম নয়ন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাহিদামতো তেল দিচ্ছে না। তেলের সরবরাহ বন্ধ আছে। কয়েকটি ব্র্যান্ডের ডিস্ট্রিবিউটররা তাদের অন্য পণ্যের (চিনিগুঁড়া চাল, সরিষার তেল, বিভিন্ন মসলা) অর্ডার নিলেও সয়াবিন তেলের অর্ডার নিচ্ছেন না।

অনেক দোকানিরা বলেন, ‘বাজারে তেল নেই বললেই চলে। আমরা বারবার তেল চেয়েও পাচ্ছি না। ডিস্ট্রিবিউটররা আমাদের বলছেন, আবারো তেলের দাম বাড়বে বলে সরবরাহ কম।’ তারা জানান, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, এক লিটারের তেল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সংকটের কারণ জানতে চাইলে একাধিক বড় বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কম্পানিগুলোর কাছ থেকে বেশি বেশি তেল নিয়ে বাড়তি দামের আশায় মজুদ করছে। কয়েকটি ডিলারের নিকট খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কম্পানি থেকে তেল সরবারহ বন্ধ রয়েছে। ঈদের আগে আসবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। বাজারে এখন ক্রেতাদের খোলা তেলই ভরসা।

বাজারে তেল ক্রয় করতে আসা মো: বিপ্লব জানান, বাজার ঘুরে ১ লিটার বোতল তেল ক্রয় করতে পারিনি। অনেক ক্রেতারা বলেন, বাজারে ১ থেকে ২ লিটারের তেল পাওয়া কষ্টকর। ৫ লিটার তো উধাও। যা পাওয়া যায় তার প্রতি লিটার তেলের বোতলের দাম রাখা হচ্ছে মূল্যের থেকে লিটার প্রতি১০ টাকা করে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে প্রশাসন ও ক্যাবের কোন নজরদারি নেই।

মধুখালী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মো: আবুল বাসার বাদশা বলেন, তেল বাজারে নেই বললেই চলে। ক্রেতারদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে খোলা সয়াবিন ও সরিষা ব্যাবহার করছেন অনেকে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ