সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টেপা মাছ খেয়ে একই পরিবারের ৫ জন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মৃত আনসার গাজীর ছেলে মতিয়ার রহমানকে (৫৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন বংশীপুর গ্রামের গাইন পাড়া নামক স্থানে। গুরুতর অসুস্থ পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন মতিউর রহমানের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪৫), ছেলে সাগর হোসেন (২৫), সাগরের স্ত্রী সিলমি বেগম (২২) ও তাদের ছেলে মাহীর হোসেন (০৪)।
মতিউর রহমানের মামাতো ভাই আব্দুল হান্নান জানান, মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে মৃত আনসার আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান বাজার থেকে সাগরের টেপা মাছ ক্রয় করে। দুপুরে রান্না করে তার পরিবারের সদস্য মতিয়ার রহমানের পুত্র সাগর হোসেন, নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোমতাজ (৩০), সাগরের স্ত্রী সিলমি (২০), নজরুলের শিশু পুত্র মাহীর (২) খাওয়া-দাওয়া করে। টেপা মাছ খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একে একে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় সকলকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরণ করেন।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. বিপ্লব কান্তি দে জানান, বিকেলের দিকে তাদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অবস্থার অবনতিতে মতিউর রহমানকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পথে কুলিয়া এলাকায় তিনি মারা যান। পরিবারের বাকী ৪ জন সদস্যের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নন বলে তাদেরকেও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরে লক্ষণ সম্পর্কে ডা. বিপ্লব কান্তি দে বলেন, সমস্ত শরীর ঝিমঝিম করাসহ খিঁচুনি ও বমি হওয়ায় ছিল তাদের লক্ষণ। উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম শোকর আলী জানান, ট্যাপা মাছ খেয়ে কৃষিজীবী মতিউর রহমানের মৃত্যু ও পরিবারের অপর ৪ জনের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার খবর শুনেছি।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ