ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

প্রকাশনার সময়: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০৩:৩০

আর কয়েকদিন পর ঈদ। ঈদ উপলক্ষে দুবছর পর জমজমাট হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের মার্কেটগুলো। উচ্চবিত্তের শপিংমল থেকে নিম্নবিত্তের ফুটপাত সবখানেই জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি বিপণি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ঈদের কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত বিপণি বিতান গুলো। এমনকি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও নেই তিল ধারণের ঠাঁই। ঈদ মার্কেটে তরুণদের উপস্থিতি বেশী দেখা যায়। পোশাক, জুতা থেকে শুরু করে প্রসাধনী, টুপি এমনকি তৈজসপত্রের দোকানেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তীব্র গরম উপেক্ষা করে মানুষ পছন্দের পোশক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে মার্কেট গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ নিউ মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বলেন, করোনার কারণে দুই বছর মানুষ ঠিক মতো মার্কেট করতে পারে নাই। তাই এবার ঈদ উপলক্ষে দোকান গুলোতে ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশী। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মতো ঈদের কেনাকাটা করছে।

দুপুরে শহরের মুক্তা প্লাাজায় দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন তারিকুল ইসলাম। তারা বলেন, অনেকদিন মার্কেটে আসা হয়না তাদের। গত ঈদে কেনাকাটা করতে না পেরে কিছুটা মন খারাপ ছিলো । তাই এবছর ঈদের কয়েকদিন আগেই মার্কেটে এসেছেন পছন্দ মতো ঘুরে ঘুরে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য।

শহরের জুতার দোকান গুলোতেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। শহরের এবি সুপার মার্কেটের জুতার দোকানে বন্ধুদের নিয়ে জুতা কিনতে আসেন সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা। জানান, পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে পছন্দের জুতা কেনার জন্য এসেছেন তিনি।

শহরের বিপণি বিতান গুলো ছাড়াও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায় ফুটপাতের দোকান গুলোতে। নিম্ন আয়ের মানুষ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য সাধ্যমতো ঈদের কেনাকাটা করছেন ফুটপাতের দোকান গুলো থেকে। ফুটপাতের দোকান গুলোতে নিম্ব আয়ের মানুষ বেশী আসেন এবং কম দামে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করেন বলে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান।

হকার্স মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ঈদ যতই এগিয়ে আসছে মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে সব শ্রেণী পেশার মানুষ আসে। দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। মানুষ পছন্দের ঈদ কেনাকাটা করতে পেরে অনেকটাই খুশী ।

বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে লুঙ্গি, টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকান গুলোতেও। এসব দোকানীরা জানান, রোজার ঈদে দেশি টুপির পাশাপাশি চায়না, ওমানি, তুর্কি ও পাকিস্তানী টুপিও ভালো বিক্রি হয়। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার মধ্যে টুপি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিক্রি করবেন এসব সামগ্রী।

নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ