ঢাকা, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

দৌলতদিয়ায় মানুষের ঢল

প্রকাশনার সময়: ২৬ জুলাই ২০২১, ২০:৪৩ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১, ২০:৪৫

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ব্যস্ত রয়েছে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তারপরও কঠোর লকডাউনের মধ্যে কর্মমুখী মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে এসে ভিড় করছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।

তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এ সকল যাত্রীদের পথে নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে আসতে গুণতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া।

এদিকে নদীতে তীব্র স্রোত ও কঠোর বিধিনিষেধে যানবাহনের চাপ গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা কমে এসেছে। ফেরি কর্তৃপক্ষ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য সোমবার সকাল থেকে রুটে ৮ টি ফেরি চালু রেখেছে। গতকাল ছিল ৯টি ফেরি। বহরে মোট ফেরির সংখ্যা ১৬টি। অন্য ফেরিগুলোকে পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার থেকে সারা দেশে কঠোরতম বিধিনিষেধ শুরু হলে গণপরিবহনের সঙ্গে বন্ধ রাখা হয় লঞ্চ চলাচল। এর মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ ও ব্যক্তিগত গাড়ি নানা প্রয়োজনে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া ঘাটে আসেন। কোন ভাবেই তাদের আটকানো যায়নি।

তবে সোমবার থেকে কিছুটা চাপ কমেছে। তারপরও বহু মানুষ ও যানবাহন ঘাটে আসছে।

এদিকে ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ফেরিতে সাধারণ যাত্রী পারাপার পুরোপুরি বন্ধ। এরপরও যাত্রীরা জরুরি কাজের নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। কেউ অসুস্থ, কেউ রোগী দেখতে যাবে, কেউবা বলছেন চাকরি বাঁচাতে হলে ঢাকায় যেতেই হবে। আমরা নিষেধ করলেও তারা ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। সোমবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা, অটোরিকশাসহ থ্রি-হুইলারে করে লোকজন দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন। তারা ফেরিঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার, ঘাট কর্তৃপক্ষকে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। এরপর ঘাটে ফেরি ভেড়ামাত্রই তারা ফেরিতে উঠে পড়ছেন। কোন নিষেধই তারা মানছেন না। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতেও একই রকম ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া অনেক সিংগেল যাত্রীকে মোটরসাইকেল করে ঘাটে পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনরা। যাতে নদী পার হয়ে গন্তব্যে যেতে পারেন।

ঝিনাইদহ থেকে থেকে আসা শামসুর রহমান জানান, ‘আমি গ্রামের বাড়িতে কোরবানি করতে এসে লকডাউনে আটকে পড়ি। ঢাকায় আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি না গেলে তাকে ডাক্তার দেখানোর কেউ নেই। তাই বাড়ি থেকে বের হয়েছি। পথে অন্তত ১০ জায়গায় এই ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলে আমাকে ঘাট পর্যন্ত আসতে হয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: জামাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মায় তীব্র স্রোত ও বিধি-নিষেধে যানবাহনের চাপ কমে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ৮টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলোতে জরুরি প্রয়োজনে আসা অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার হচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীরাও নদী পার হচ্ছে। কিছু করার নাই।’

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ