ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বগাইলে অবস্থিত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা যেন দূর্ঘটনার ফাঁদে পরিণত হয়েছে। লকডাউনে রাস্তায় যানবাহনের চাপ কম থাকার পরও প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঘটছে প্রাণহানিও।
গত তিন মাসে এ টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনায় অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ।
নবনির্মিত এ টোলপ্লাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ফ্লাইওভার থেকে ঢালে নামার সময় টোলপ্লাজা অতি নিকটে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না বেশিরভাগ চালকরা।
সম্প্রতি টোলপ্লাজার আইল্যান্ডে ধাক্কা খেয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে গিয়ে চারজন নিহত হয়। ঈদুল ফিতরের আগের রাতে পৃথক ঘটনায় আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে দুই মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলে নিহত হন। এর কিছুদিন আগে একইভাবে দুই বন্ধু কলেজছাত্র নাইমুর ও শাকিল নিহত হন। একই ধরনের দুর্ঘটনায় নিহত আরেকজন ছিল অজ্ঞাত।
বগাইল টোলপ্লাজা এলাকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সফিউদ্দিন মোল্লা জানান, ফ্লাইওভার থেকে ঢালে নামার সময় টোলপ্লাজা অতি নিকটে হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না বেশিরভাগ চালকরা। এছাড়া টোলপ্লাজার লেনগুলো চাপা হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে টোলপ্লাজা করা হলে দুর্ঘটনা কমবে।’
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘টোলপ্লাজার পুরো কাজ সম্পন্ন হয়নি। যখন টোলপ্লাজার কার্যক্রম শুরু হবে, তখন হয়তো আর দুর্ঘটনা থাকবে না। ফ্লাইওভারে যে গতিতে গাড়ি চালানোর নির্দেশনা রয়েছে, তা উপেক্ষা করে কিছু অদক্ষ চালক গতি বাড়িয়ে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফ্লাইওভারের কাছে টোলপ্লাজাটি স্থাপন করায় দ্রুতগামী গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। যদিও টোলপ্লাজা প্রায় কমপ্লিট। তারপরও ওই স্থান থেকে যদি আরেকটু দূরে সরিয়ে টোলপ্লাজা স্থাপন করা হতো, তাহলে দুর্ঘটনা কম হতো।’
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ