ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হাওর রক্ষায় কৃষকরা চায় বহুমুখী প্রদক্ষেপ 

প্রকাশনার সময়: ২০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৪৪

প্রায় প্রতিবছর উজানের ঢলে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্ট্রগ্রাম-নিকলির বিভিন্ন হাওরে কৃষকের ফসলহানির ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের কাছে বহুমুখী প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য কৃষক ও সচেতন মহল দাবি জানিয়েছেন।

এবছর কিশোরগঞ্জের অন্যান্য উপজেলা সুরক্ষিত থাকলেও ইটনা উপজেলার বিভিন্ন হাওর অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। উজানের ঢলে হাওরের ধনু নদীর পানি উপচে হাওরে প্রবেশ করে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সবকটি হাওর সয়লাব হয়েছে। পানির নিচে রয়েছে কৃষকদের হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান। অনেক কৃষক জমির ধান হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে। কৃষকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ইটনার মধ্যগ্রামের কৃষক মাজাহারুল ইসলাম বলেন, আমরা যাতে বার বার অকাল বন্যার কবলে পড়ে জমির ধান হারিয়ে সর্বশান্ত না হই সেজন্য সরকারকে সুদৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। হাওরের প্রধান নদীগুলো খনন করতে হবে।

ইটনা উপজেলার বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি এডি মো: আলী খান মনে করেন, হাওরের নদীগুলোর পানিদ ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে খনন করা অতি জরুরি। বর্ষার পানি যাওয়ার সাথে সাথে নদীর পাড়গুলো উঁচু করতে হবে এবং বাঁধগুলো যুগোপযোগী নির্মাণ ও বিভিন্ন জায়গায় স্লুইজগেট নির্মাণ করতে হবে। পানি উন্নয়নবোর্ডসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়াও বহুমুখী প্রদক্ষেপ নিতে হবে বর্তমান সরকারকে। তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা প্রতিবছর শঙ্কা নিয়ে ধান চাষ করে। আর হাওরের ফসল থাকে অরক্ষিত। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলালে দেশের শস্য ভাণ্ডার ভরে উঠবে। তাই তাদের মঙ্গলার্থে সরকারকে এখনি একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ কাজ করতে কোনরুপ অনিয়ম না হয় তাও তদারকি করতে হবে।

কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমানের কাছে মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে লাইন কেটে দেন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ