ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিডের দাম বাড়ায় হুমকির মুখে পোলট্রি খামার

প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৫৪

চোখে রঙিন স্বপ্ন বুনে স্বাবলম্বী হতে খামার করে বিপাকে এখন খামারিরা, চড়া সুদে এনজিও থেকে লোন নিয়ে খামার করে মাথায় হাত খামারিদের।

দেশের মানুষের প্রায় ৩৬ শতাংশ প্রোটিন আসে পোল্ট্রি খাত থেকে। কিন্তু হঠাৎ করেই সারা দেশে বেড়েছে ডিমের দাম, কিন্তু পোল্ট্রি ফিডের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাশ খামারিরা। প্রচুর কষ্ট আর অর্থ লগ্নি করেও মিলছে না আর্থিক লাভ।

এনজিও থেকে লোন নিয়ে খামার শুরু করা খামারিরা ব্যাপক লোকসানের মুখে, সাপ্তাহিক কিস্তির চাপে দিশেহারা অবস্থা তাদের। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবের ঊর্ধ্বগতির বাজারে খামারিরা বর অসহায়, দিসকুল না পেয়ে অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছেন ঢাকার দিকে।

দেশের সিংহভাগ আমিষের চাহিদা পূরণ করছে পোল্ট্রি শিল্প। কিন্তু এ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল সয়ামিলের দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে, সময়ে পদক্ষেপ না নিলে প্রান্তিক খামারিরা হারিয়ে যাবে অচিরেই।

আফতার আলী বিগত বছরগুলতে আমিষের চাহিদা নিজ এলালাকায় মিটিয়ে জেলার বাইরেও পাঠিয়েছেন ডিম সোনালী মুরগি। তার মোট ৪ টি শেড এ মুরগী ছিল (১০, ০০০হাজার) এখন ফিডের দাম বাড়ায় হতাশা আর লসে পরে সব বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন মাত্র (৩,০০০হাজার)। কিস্তির চাপে হতাশ আফতাব জানান, এমন চলতে থাকলে আমাদের সব ছেড়ে রিক্সা চালাতে হবে।

এমন করে আর এক খামারি ভানু রায় নয়া শতাব্দীকে জানান, যে হারে ফিডের দাম বেড়েছে কোন লাভ তো নাই আর ভর্তুকি দিয়ে ফার্ম চালান লাগছে। অনেক আশা নিয়ে এই পেশায় এসে এখন হতাশ আমি। কী করব, কীভাবে এত টাকার লোণ সামলাবো উপরওয়ালা জানেন।

লালমনিরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, এখনি সময় এই বাজার নিয়ন্ত্রণের নয়তো দেশ থেকে অনেক খামারি কমে যাবে। দেশে আমিষের প্রচুর ঘাতটিতে দেশ আচ্ছন্ন হয়ে পর্বে, দেশে যে হারে মাছ, মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সাধারণ মানুষের ভরসা পোলট্রি। সেটিও যদি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় আকাল পরে যাবে দেশে। এভাবে খামারি কমতে দেয়া যাবে না, আমরা আশাকরি সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

ফার্মে কর্মরত আফিয়ার জানান, ৪ বছর ধরে কাজ করছি মুরগীর খামারে ভালই চলছিল দিনকাল। কিন্তু হুট করে ফিডের দাম বাড়লে মহাজন লস খেয়ে যায়, বকেয়া পড়তে থাকে আমার বেতন। এমন হইলে আবার মাটি কাটিয়া খাওয়া লাগবে। আগত ১০ জনের উপরে কাজ করছিন এলা ৩ জন কাজ করি। তার বেতনের ঠিক নাই কী আর করিবে মহজনই তো বাঁচে না, হামাক আর কী দিবে কোন?

শত কষ্ট হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন আফাতার আলীর মত হাজার স্বপ্নবাজ যুবক, তারা চান বাজার সমতা, তাদের কারণেই আমরা অনেকটা আমিষের চাহিদা মিটিয়ে নিচ্ছি নিজের ও পড়িবারের সকলের। খামারি বাঁচলেই বাঁচবে দেশ এমনটাই ভাবেন সুশীল সমাজ, সকল সিন্ডিকেট কাঁটিয়ে আলোর মুখ দেখবে লালমনিরহাটের খামারিরা এমনটাই আশা করেন তারা।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ