ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জেএমবি’র মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৫:১৭

নওগাঁয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ‘জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’ এর ইসাবা গ্রুপের সামরিক শাখার সদস্য মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেন (৪৪) কে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার পত্নীতলা উপজেলার ছোট চাঁদপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃত সানোয়া হোসনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে আখিউল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এন্টি টেররিজম ইউনিট চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার সন্ত্রাস বিরোধী মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেনের উপর নজরদারি শুরু করে। এর এক পর্যায়ে জানা যায় সানোয়ার হোসেন পত্নীতলা উপজেলা চাঁদপুর এলাকায় নাম পরিবর্তন করে আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত ও ভেড়া লালন পালন করে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবি সদস্য ভুক্ত হয়। তখন সে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ সালে ২৯ শে মার্চ শেখ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হলে কিছুদিন পর মাওলানা সাইদুর রহমানের জেএমবির আমির হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং তাদের অন্তর কোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবির স্বঘোষিত আমির-সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী আমবাগান এলাকায় কৌশলের ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়।

পরবর্তীতে গ্রেফতাররকৃত আ: শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্যমতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সানোয়ার হোসেনসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

তিনি বলেন, সানোয়ার হোসেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে তিনি পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজও করে যাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার সন্ত্রাস বিরোধী ২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছাড়াও আরও দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলতবি আছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ