ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাজিরপুরে ৭ লক্ষ টাকার সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ 

প্রকাশনার সময়: ১৫ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৩২

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন প্রজাতির ৭ লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের খাদ্য গুদাম সংলগ্ন সরকারি খাস জমিতে থাকা রেইনট্রি, মেহগনি ও চাম্বল গাছসহ মোট ১৪টি গাছ কেটেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ন চন্দ্র মিস্ত্রী বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক, নাজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নাজিরপুর থানায় স্থানীয় প্রভাবশালী সুনিল কুমার হালদারের ছেলে জনি হালদার (৩২), মোনাজ উদ্দিন এর ছেলে রিপন শেখ (৩৪), শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে অনুপ বিশ্বাস (৩৪), মন্নান খাঁর ছেলে মো: আসলাম খা, মোশারেফ শেখ, শহীদ শেখদের বিরুদ্ধে গাছগুলো কাটার অভিযোগ করেছেন।

নারায়ন চন্দ্র মিস্ত্রী জানান, প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আমি তাদের নিষেধ করলেও তারা আমার অনুরোধও প্রশাসনের নিষেধ না শুনে প্রকাশ্য দিবালোকে গাছগুলো কেটেছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। তারা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে অবহিত না করে গায়ের জোরে আইন অমান্য করে গাছগুলি কেটেছে। তাই আমি (নারায়ন চন্দ্র মিস্ত্রী) প্রশাসনের সব জায়গায় অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আল-মামুন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ পাওয়ার পরে আমরা ঐ স্থানে গিয়ে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছি এবং গাছগুলো যে জায়গায় ছিল সেটি মূলত ডিসিআর ভুক্ত সম্পত্তি ওদের নামে ডিসিআর ও হয়েছে। বর্তমানে কাটা গাছগুলো ঘটনাস্থলে রাখতে বলা হয়েছে। যারা গাছগুলো কেটেছে তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে, দোষী প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিসি স্যারের অনুমতি পেলে গাছগুলো স্পটে নিলাম হবে।

অভিযুক্ত জনি ও অনুপের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আমরা ওই জায়গা ডিসিআর হিসেবে নিয়েছি। আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই গাছগুলি রোপন করেছে তাই আমরা গাছগুলো কেটেছি। গাছ কাটার টেন্ডার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা অনুমতি নিয়েছি সত্য, কিন্তু কোন কাগজ আমাদের কাছে এই মুহুর্তে নেই।

অভিযুক্ত রিপন শেখ জানান, আমরা গাছ কেটেছি সত্য বর্তমানে গাছগুলো এসিল্যান্ড স্যার জব্দ করে রেখেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে গাছগুলোর কোন টেন্ডার হয়নি। টেন্ডারের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যারা গাছগুলো কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ