ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্ষমতায় আসতে হবে জনগণের সরকারকে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশনার সময়: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ২০:৫০

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, যে কোন সরকার ক্ষমতায় আসলে হবে না। ক্ষমতায় আসতে হবে জনগণের এবং শেখ হাসিনার সরকার। আমরা নারীর অধিকারের কথা বলি, আর নারী বিদ্বেষী সরকারকে ভোট দিব। আমি সততা ও ন্যয় চাইব, আর অসৎ মানুষকে ক্ষমতায় বসাবো, সেটাতো হয় না। আমি একই সাথে বলব আজকের সমাজে খুব সৎ থাকাটা কষ্টকর একটি বিষয়। সেই কষ্টকর কাজটা কষ্ট করে অনেকে ধরে রেখেছেন এবং রাখবেন। কারণ তাদের রক্ত সততার বাহিরে যাওয়ার কোন পথ দেখায় না।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনের নীচ তলা হলরুমে প্রেসক্লাবের অভিষেক ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে বাংলাদেশের গত একশো বছরের ইতিহাস জানতে হবে। আমি যদি রাজনীতি করি, সাংবাদিকতা করি, প্রশাসন চালাই কিংবা যে কোন কাজই করি প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। ইতিহাস জানা, ইতিহাসের গতি প্রকৃতি বোঝা ছাড়া এসব পেশার কাজগুলো ঠিকভাবে করা যায় না। ইতিহাস জেনে বুঝতে হবে পক্ষকে বিপক্ষকে। বুঝতে হবে এদেশের মাটি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা, সাহিত্য, মানুষের বোধ ও মানবিকতা বোধের সঙ্গে কার সম্পর্ক।

দীপু মনি বলেন, আমাদের রাজনীতি দু’টি ভাগ স্পষ্ট। একটি খুবই সংকীর্ণ তথা কথিত ধর্মীয় ধারা। যেটা ধর্মকে আসলে ব্যবহার করে। আরেকটি হচ্ছে উদার গণতান্ত্রিক মানবতাবাদী ধারা। এই দু’টি ধারা আমরা গত ১০০ বছর ধরে স্পষ্টভাবে দেখতে পাই। যখন উদার গণতান্ত্রিক মানবতাবাদী ধারা দেশ পরিচালনায় এসেছেন, এই দেশ এগিয়ে গেছে এবং এই দেশের মানুষের স্বপ্ন আশা আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হয়েছে। আর বিপরীত ধারার লোকজন যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশ পিছন দিকে হাটতে শুরু করেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক কিছুতে নিরপেক্ষতা চাই। কখনো কখনো কিন্তু নিরপেক্ষতা অন্যায়কারীর পক্ষ নেয়া হয়ে যায়। যখন স্পষ্টভাবে একটি পক্ষ অন্যায় করছে, আরেকটি পক্ষ অন্যায় করছে না ন্যয়ের পক্ষে আছে। এর বাহিরে নিরপেক্ষতার নামে যিনি মাঝ পথ দিয়ে হাঁটেন, তিনি কিন্তু সত্য ও ন্যয়কে তুলে ধরছেন না। তিনি সত্য ও ন্যয়ের হাতকে শক্তিশালী করছেন না বরং নানাভাবে অন্যায়কে উস্কে দিচ্ছেন। কাজই নিরপেক্ষতা সব সময় ভাল না।

দীপু মনি বলেন, পারিবারিক কারণে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। চাঁদপুরের সাংবাদিকদের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। একটি জেলা সদর থেকে অনেকগুলো খবরের কাগজ নিয়মিত বের হওয়া এটি একটি বড় জিনিস। সংবাদপত্র এমন একটি জিনিস, যেখানে বস্তুনিষ্ঠতার বাহিরে কোন জায়গা নেই। যে কোন বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরা সেটা খুবই প্রয়োজন। আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে সঠিক তথ্য দেয়া দরকার। সে ক্ষেত্রে সংবাদপত্র গুরু দায়িত্বশীলতা পালন করে। একই সাথে সংবাদপত্র পড়ে পড়ে মানুষ অনেক কিছু শেখে।

প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, কাজী শাহাদাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা ও এএইচএম আহসানুল্লাহ প্রমূখ।

নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ