কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া-পিএমখালী সড়কে গতিরোধ করে এক বিএনপি নেতার মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত ১২ টার দিকে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি।
ছিনতাইয়ের শিকার বিএনপি নেতা রাশেদ উল্লাহ খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার মৃত ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে এবং ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
জানা গেছে, রাশেদ মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার সময় ছাগলকাটার টেক এলাকায় পৌঁছামাত্র ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত সড়কে কারেন্ট জাল দিয়ে তার গতিরোধ করে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এ সময় তার মোটরসাইকেল, প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইল ফোনসেট ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাশেদের ভাই আনছার উল্লাহ বলেন, ‘পিএমখালীর পাতলী এলাকার এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে আমরা ওখানে যাই। ছোট ভাই রাশেদ মোটরসাইকেল নিয়ে সেখান থেকে বাড়িতে আসার পথে ডাকাতির শিকার হন। ৬-৭ সদস্যের ডাকাতদল তাকে আঘাত করে মানিব্যাগ, মোবাইলসহ মোটরসাইকেলটি (কক্সবাজার-ল-১১-৯৪০০) ছিনিয়ে নিয়ে যান। মানিব্যাগে স্মার্ট কার্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিল।’
স্থানীয়রা জানান, এ সড়কটিতে প্রতিনিয়ত ছিনতাই, ডাকাতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা সুযোগমতো রাস্তায় জাল, গাছের গুঁড়ি ফেলে কিংবা অন্য কিছু দিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে পায়ে হেটে যাওয়া লোকজন, সিএনজি ও মটর সাইকেল থামিয়ে নিয়মিত ডাকাতি করতো। গত কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি আবারও শুরু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘পিএমখালী-খরুলিয়া সড়কের ছাগলকাটার টেক জায়গাটির দু'পাশে বড় বিল থাকায় রাত হলে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায়। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ডাকাত দলের কিংবা ছিনতাকারীদের কবলে পড়তে হচ্ছে এ সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। ফলে যাত্রীরা চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে রাতের বেলায় এই সড়কে যাতায়াত করতে বাধ্য হয়।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে গতিরোধে ব্যবহৃত একটি কারেন্ট জালসহ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ঈদকে সামনে রেখে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।’ তবে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে বেশি সময় লাগবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ