মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রের লিঙ্গ কেটে ফেলার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিজড়া জুঁই আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৬ এপ্রিল) জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালদের বিচারত ফয়সাল আল মামুন এই আদেশ দেন। এরআগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার খোঁয়াজপুর থেকে জুঁইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মঠের বাজার থেকে ১৮ বছরের মাদ্রাসাছাত্র ইয়াছিন আরাফাতকে জোড় করে মাইক্রোবাসে তোলে স্থানীয় হিজড়াদের ভ্যানচালক নুরু বকতি। পরে হিজড়া জুঁইয়ের নেতৃত্বে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সেখানে ওই কিশোরকে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ ফেলার অভিযোগ ওঠে। পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে একটি প্রাইভেটকারে ইয়াছিনকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়
অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনার ইয়াছিনের বাবা রেজাউল মোড়লে জুইকে প্রধান আসামি অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিলে জুঁইকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ সুপার আরো জানান, এই অমানবিক ঘটনার সাথে স্থানীয় ভ্যানচালক নুরু বকতি, খুলনার হিজড়া স্বপ্না ও একজন চিকিৎসক জড়িত। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ