ঝিনাইদহে অস্ত্র মামলায় মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবকের ১৭ বছরের জেল প্রদান করেছে ঝিনাইদহের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ। সোমবার (৪ এপ্রিল) এ রায় প্রদান করেন ঝিনাইদহের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা। মনিরুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারী মনিরুল ইসলামের বাড়ীতে অস্ত্র মজুদ আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে আসামি মনিরুল পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ এ সময় তার শয়ন কক্ষ থেকে তাকে আটক করে। আটকের এক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মনিরুল তার শয়ন কক্ষের খাটের উপর বালিশের নীচ থেকে একটি দেশী তৈরী শার্টারগান ও তিন রাউন্ড গুলি বের করে। কিন্তু উক্ত অস্ত্র ও গুলির কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে না মনিরুল। ফলে ইহা অবৈধ বলে পরিগণিত হয়।
অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় এসআই ফজলুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন মনিরুলের বিরুদ্ধে। এসআই শেখ মোঃ আনোয়ার হোসেন তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করেন। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে মামলা চলার পর সোমবার (৪ এপ্রিল) ঝিনাইদহের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দশ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১৯ (এফ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
আসামি জামিনে থাকায় জেল হাজতে প্রেরণ করেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন মোঃ ইসমাইল হোসেন ও আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এস.এম মশিয়ুর রহমান।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ