পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসুক ও বিষু (বৈসাবি) মেলা শুরু হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মাঠে মেলা উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষের কৃষ্টি– সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন ভূমিকা রাখবে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করবে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউিটের উদ্যোগে বৈসাবি মেলা উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছছের হোসেন, হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর প্রমুখ।
আলোচনা সভার আগে রাঙামাটি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউিটে গিয়ে শেষ হয়। পাঁচদিন ব্যাপী মেলার স্টলে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও হস্ত সামগ্রীসহ নানান পসরা প্রদর্শিত হবে।
প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসবের আয়োজন করে । উৎসবটিকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসুক ও তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু নামে পালন করে। ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী মূল উৎসব পালন করা হয় পাহাড়িদের ঘরে ঘরে। করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছরে বৈসাবী উৎসবের আয়োজন ছিল সীমিত পরিসরে।
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ