ফরিদপুরে এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়ার জেরে এসিড নিক্ষেপ করে রানা (৩৫) নামের এক যুবকের মুখমণ্ডল ঝলসে দিয়েছে ওই গৃহবধূর স্বামী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (০৩ এপ্রিল) রাতে জেলা শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসিড আক্রান্ত রানা শহরের মধ্য আলীপুর এলাকার আব্দুর রবের ছেলে।
এদিকে এসিডে ঝলসানো মুখ নিয়েই হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন রানা সেখ (৩৫) নামের ওই যুবক। রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তিনি। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. রতন সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. রতন সাহা বলেন, এসিডে আহত রানা চোখের অন্তরালে ফাইলপত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছে। রোববার দুপুর দেড়টা থেকে তাকে আর বেডে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে বন্ধু রিপন মোবাইল ফোনে ডেকে অতর্কিতভাবে রানার মুখমণ্ডলে এসিড ছুড়ে মারে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত রানা ফরিদপুর পৌর শহরের মধ্য আলীপুরের বাসিন্দা মো. রব শেখের ছেলে। অভিযুক্ত রিপন পৌর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এম এ জলিল বলেন, রানা ও রিপন দুজন সম্পর্কে বন্ধু। দুইজনই নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের নামে মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। কিছুদিন আগেও দুজনে একসঙ্গে জেলা কারাগারে ছিলেন। রানা সেখ আগে জামিন পান। রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে রানার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিপন জেল থেকে জামিনে এসে তার স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু রানার পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে।
ওসি আরো বলেন, পরকীয়ার জের ধরে রানাকে ডেকে এনে তার মুখমণ্ডলে এসিড ছুড়ে মারেন বন্ধু রিপন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে রানা নামে এক যুবকের শরীরে এসিড নিক্ষেপে করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ