ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬
৩০০ নলকূপ অচল

কমলগঞ্জে বিশুদ্ধ পানির সংকটে হাজারো পরিবার

প্রকাশনার সময়: ২৯ মার্চ ২০২২, ১৬:১৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রচন্ড খরার কারণে ও গভীর নলকূপে বোরো জমিতে সেচ দেওয়ায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। গত ১৫-২০ দিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক অগভীর নলকূপে পানি না উঠায় অচল হয়ে পড়েছে। ফলে বিশুদ্ধ পানি সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপনের জন্যই অগভীর নলকূপে পানি না উঠার মূল কারণ বলে মনে করছেন। জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিউয়নের রামপুর, নারায়নক্ষেত্র, রায়নগর, রামচন্দ্রপুর, শমসেরনগর ইউনিয়নের সোনাপুর, রাধানগর, মরাজানেরপার, সতিঝিরগাঁওসহ আশপাশের আরো কিছু এলাকার অগভীর নলকূপে পানি উঠছে না। ১৬০ ফুট পরিমাণ গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না। বর্তমানে নানা স্থানে গভীর নলকূপ যেখানে ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট পরিমাণ গভীর নলকূপ রয়েছে সেসব নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে। বোরো চাষাবাদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সেচের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তোলার কারণেই অগভীর নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। তাছাড়া পুকুর, খালবিলেও পানি শুকিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানি না পাওয়ার কারণে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দূরের বাড়িঘর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করলেও গোসল, ল্যাট্রিন ব্যবহারে পানি পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শমসেরনগরের সোনাপুর গ্রামের গৃহিনী সুমি আক্তার, কাইয়ুম মিয়া, নারায়নক্ষেত্র গ্রামের শাহজাহান, আইয়ুব আলী, আজিজুর রহমান, রামচন্দ্রপুর গ্রামের রুশন মিয়া, বিনয় চক্রবর্তী বলেন, ‘গত পনের বিশ দিন যাবত আমাদের গ্রামের অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি উঠছেনা। অনেক চাপাচাপি করেও পানি তোলা যাচ্ছে না। এতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। দুর-দুরান্ত থেকে খাবারের জন্য নলকূপের বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করে আনতে হচ্ছে।’

মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ তরফদার জানান, তার ইউনিয়নের রামপুর, নারায়নক্ষেত্র, রায়নগর ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। নলকূপে পানি না উঠার কারণে দু’একদিন পরে গোসল করতে হচ্ছে।’

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুজন সরকার বলেন, ‘আসলে এখন খরার সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে কিছু কিছু স্থানে শ্যালো (হাতচাপা নলকূপ) পানি উঠে না। হয়তো পানির লেভেল নিচে নেমে গেছে। এরকম আশপাশের উপজেলাগুলোতেও শোনা গেছে।’

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক ও অগভীর নলকূপে পানি না উঠার অভিযোগ শোনা গেছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘এবার ব্যাপকহারে জমিতে বোরো আবাদ হওয়ায় সেসব জমিতে গভীর নলকূপে পানি সেচ দেওয়ায় ও টানা কিছু দিন খরার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত হলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ