সময়ের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে বাতি। আঞ্চলিক ভাষায় কুপিবাতি নামে বেশি পরিচিত। এক সময় কেরোসিনের হাতবাতি বা কুপিবাতি ছিল রাতের আঁঁধার নিবারণের একমাত্র অবলম্বন।
সারাদেশের ন্যায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে ধোবাউড়া উপজেলায়। ইতোমধ্যে শতভাগ বিদুৎতায়ন ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার প্রায় সব ঘরেই জ্বলছে বিদ্যুতে আলো। এছাড়াও রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সন্ধ্যার পরই সৌর বিদ্যুতের লাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত হচ্ছে রাস্তাঘাট। এসবের ভিড়ে হারিয়ে গেছে কুপিবাতি এবং চেরাগ বাতি। এক সময়ে হরহামেশাই বাজারে পাওয়া যেত বাতি। যা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন অনেকে। মাঝে মধ্যে যা দেখা যায় মেলায়।
গত ২৩ মার্চ শেষ হওয়া ধোবাউড়া উপজেলা প্রশাসনে আয়োজনে উন্নয়ন মেলায় কুপিবাতি ও চেরাগ বাতি দেখা যায়।
ইলেক্ট্রিশিয়ান শহিদুল ইসলাম বলেন, মেলায় প্রদর্শনীর জন্য অনেক কষ্ট করে বাতি সংগ্রহ করেছি। মেলায় দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরা জানান প্রদর্শণ করা বাতিগুলো মেলা চলাকালে আগ্রহ নিয়ে দেখেছে শিক্ষার্থীরা, যা এখন পাওয়া খুবই দুষ্কর।
স্থানীয় আমির হোসেন বলেন, গত ১৪-১৫ বছর আগেও কুপিবাতি গ্রামের সব বাড়িতে দেখা যেত। আমরাও কুপিবাতি জ্বালিয়ে পড়াশোনা করতাম। যা এখন সবই স্মৃতি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ