উইকিপিডিয়া তথ্য মতে, ‘স্মৃতিসৌধ হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত বেসামরিক বাঙালি ও অবাঙ্গালিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা।’
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। দেশের প্রতিটি প্রান্তে এই দিনটি শুরু হবে, স্থানীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে। কিন্তু পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্মৃতিসৌধ না থাকায় প্রতিবছর এই দিনটি শুরু হয় ভাষা শহীদদের শহীদ মিনারে কিংবা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। যাতে পূর্ণতা পাচ্ছে না দিবসটির অর্জনতা এবং মর্যাদা।
যদিও অনেক বার্তা দিচ্ছেন, রাঙ্গাবালী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থাকলেও নেই কোনো শহীদের কবর বা বধ্যভূমি নেই। হয়তো এজন্যই নির্মাণ হচ্ছে না মুক্তিযুদ্ধের এই অর্জন স্মৃতিস্তম্ভ (স্মৃতিসৌধ)।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মু. সাইদুজ্জামান মামুন খান বলেন, ‘শহীদদের কবর বা বধ্যভূমি থাকুক বা না থাকুক। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করতে রাঙ্গাবালীতে স্মৃতিসৌধ থাকা অপরিহার্য।’
অন্যদিকে রাঙ্গাবালী ইয়ুথ সোসাইটি (আরওয়াইএস) নামক স্থানীয় একটি যুব সংগঠনের একদল যুবকেরা জানান, ‘আমরা নবীন তরুণ! ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু ইতিহাস পড়ে ও শুনে ৭১-এর চেতনাকে লালন করি। নবীন তরুণদের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবিচল রাখতে এবং উজ্জীবিত করতে রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর বাহেরচরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জীবনকে বাজি রেখে দেশের জন্য স্বাধীনতা এনেছি। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করতে আমাদের রাঙ্গাবালী উপজেলায় এখনো সেরকম কোনো স্মৃতিস্তম্ভ (স্মৃতিসৌধ) স্থায়ীভাবে নির্মিত করা হয়নি। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি, অতিদ্রুত এবিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, আমাদের উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে।’
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ