ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় ছিনতাই করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়া দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে পাঁচ পুলিশ সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
বুধবার রাতে বংশাল থানার নিচে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান থানার এসআই আলমগীর হোসেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নজরুল ইসলাম, সজীব, শফিকুল, এসআই তাজুল এবং সুমন।
তাদের মধ্যে পেটে গুরুতর জখম নিয়ে কনস্টেবল নজরুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ ছাড়া এসআই সুমন ও কনস্টেবল শফিকুল মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের আঘাত অতটা গুরুতর নয়। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন কনস্টেবল সজীব ও এএসআই তাজুল।
থানার আরেক এসআই আব্দুল জলিল বলেন, রাতে ফুলবাড়িয়ায় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে ধরে পিটুনি দিচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। জনরোষ থেকে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এসআই আলমগীরের ভাষ্য, “থানা ভবনের নিচতলায় পৌঁছানোর পরপরই আটক ছিনতাইকারীরা সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, সজীব ও এএসআই তাজুল ইসলামসহ অন্যদের আঘাত করে। অন্য পুলিশ সদস্যরা তখন এগিয়ে গিয়ে ছিনতাইকারীদের আটকে ফেলে।”
ছিনতাইকারীদের কাছে ছুরি কীভাবে থেকে গেল প্রশ্ন করলে এসআই আলমগীর বলেন, “কোনো একটা গাফিলতিতো ছিল। হয়ত ঠিকমত দেহ তল্লাশি না করেই থানার উদ্দেশে তারা রওনা দিয়েছিল এবং নিচে আসার পর ওই দুর্ঘটনা।”
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন বলেও জানান পুলিশ সদস্য আলমগীর।
তবে এসআই জলিল বলছেন, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ছিনতাইকারীদের উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে আসার সময় তাৎক্ষণিকভাবে তাদের তল্লাশির সুযোগ ছিল না। থানার নিচে এসে গাড়ি থেকে নামানোর পরপরই তারা হামলা করে বসে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে গুলিস্তানে এক ‘দুর্বৃত্তের’ ছুরিকাঘাতে জাহাঙ্গীর মিয়া নামে পুলিশের একজন এসআই আহত হন। এর পরের রাতেই ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পাঁচ পুলিশের আহত হওয়ার খবর এল।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ