রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অনলাইনে টিকিট বিক্রি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তনের কারণে হাতে লেখা টিকিট পেতে দিনভর অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের। দীর্ঘ অপেক্ষায় বিরক্তির কারণে কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতণ্ডাসহ হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। রোববার (২০ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এসি, নন এসি টিকিটের জন্য যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
টিকিট প্রত্যার্শীদের অভিযোগ, কাউন্টারে বুকিং সহকারীরা ধীরগতিতে কাজ করে। কেউ কেউ কিছুক্ষণ পরপরই কাউন্টার থেকে অন্তরালে গিয়ে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে। যাত্রীরা কাউন্টার দাঁড়িয়ে থেকে হয়রান হয়ে পড়ে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ মার্চ থেকে অনলাইন টিকেটের জন্য নতুন একটি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিচ্ছে। একারণে রোববার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত যাত্রীদের হাতে লেখা টিকিট দেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ার শুরুর প্রথম দিন রাজশাহীতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে যাত্রীরা। টিকিট নিয়ে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নাজেহাল হয়েছেন টিকিট কিনতে আসা এক ব্যক্তি। এ নিয়ে রেলওয়ে স্টেশনে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
নাজমুল হক নামে ওই ব্যক্তি টিকিটের জন্য রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এসেছিলেন। নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে ঝামেলা হওয়ায় তাকে অফিসে ধরে নিয়ে যান। পরে মুচলেকা আদায়ের পর নাজমুলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নাজমুলের দাবি, অনেকে লাইনে না দাঁড়িয়েও টিকিট নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আরএনবির কাছে এ অভিযোগ করেছিলেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আরএনবির সদস্য তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
যাত্রীদের অভিযোগ, কাউন্টারের সামনে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, যাত্রীদের সেবা দিতে আমাদের কমতি নেই। তবে কিছু কিছু সময় যাত্রীরা অপমানজনক কথা বলেন। আমরা তাদের ধরে বোঝানোর চেষ্টা করি। নাজমুলকেও বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, টিকিট প্রিন্ট করা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হচ্ছে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত হাতে লেখা টিকিট দিতে হবে। এর ফলে কার্যক্রমে কিছুটা ছন্দপতন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ